তুর্কিয়ে তুরস্কিয়ে নয় কিন্তু
মিয়া গুল আকবর জেব-এর কথা মনে পড়ে? ঠিক এক যুগ আগে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি বিশ্বসংবাদ হয়ে উঠেছিলেন। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই সংবাদপত্রে অন্তত একটি সিঙ্গেল কলাম হলেও তিনি পেয়েছেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা পাকিস্তানি এই কূটনীতিবিদ সোয়াতের রাজ পরিবারের সদস্য। গাঁটের পয়সা খরচ করে খাওয়াতেন রাজকীয় জন্মের ইজ্জত রক্ষা করতে। প্রতিবেশী ভারতের দিল্লিতে কাউন্সেলর ও ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন; তারপর আফগানিস্তানে রাষ্ট্রদূত। ২০০৯ থেকে ২০১৪ অবসর গ্রহণের আগে পর্যন্ত কানাডায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত।
২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে খবর বেরোল তাকে সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত করার জন্য সৌদি সরকারের সম্মতি এগ্রিমো চাওয়া হয়েছিল; কিন্তু একটি বিশেষ কারণে তাকে গ্রহণ করতে সৌদি আরব সরকার অসম্মতি জানিয়েছে। অসম্মতির বিশেষ কারণ তার নাম। আকবর জেব নামটি সৌদি আরবে গ্রহণযোগ্য নয়। আকবর জেব মানে ‘বৃহত্তম পুরুষাঙ্গ’। এ রকম একটি নাম নিয়ে সৌদি আরবে কূটনৈতিক সম্প্রদায়ে অবস্থান তার জন্য বিব্রতকর হবে, সে দেশের জন্যও হবে। সুতরাং তারা অসম্মতি জানাল। কোনো একটি স্কুপ থেকে খবরটি সংগ্রহ করে প্রকাশ করতেই আরবীয় সাংস্কৃতিক সমালোচক আহমেদ আল ওমরান বলে দিলেন, সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে। নামটি একটি সাংস্কৃতিক ‘রেডলাইন’ অতিক্রম করে যায়। তার নাম ছাপতে গণমাধ্যম বারবার বিব্রত হবে, ছাপার পর প্রতিবারই সমালোচনার সম্মুখীন হবে। এটা পাকিস্তানের জন্যও অসম্মানজনক ও বিব্রতকর হবে। উদারপন্থি সৌদি আরব সমালোচকরা মনে করেন, এটি ভিন্ন একটি সংস্কৃতির ওপর অযাচিত এবং অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপ।