মনোযোগ হারাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট
ভূ-রাজনীতিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ইস্যু যুক্ত হচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে পুরোনো ইস্যু। গুরত্বও কমছে। বিশেষ করে টানা দুই বছর কোভিড মহামারির আঘাতের পর আলোচনার কেন্দ্রে এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোযোগ হারাচ্ছে।
যদিও বাংলাদেশ সরকার বিষয়টির সঙ্গে পুরোপুরি একমত নয়। সরকারের ভাষ্য, ঢাকার কূটনৈতিক প্রচারণায় রোহিঙ্গা ইস্যু এখনও বর্তমান। তবে এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও রাখাইনে প্রত্যাবর্তন করতে না পারার খেদ সংশ্লিষ্টদের। চলতি বছরেই রোহিঙ্গাদের একটি দলকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করা সম্ভব হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দুইবার প্রত্যাবাসনের খুব কাছাকাছি গিয়েও মিয়ানমারের কারণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন শুরু করা সম্ভব হয়নি। প্রত্যাবাসন শুরু করতে সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। প্রত্যাবাসন শুরু করতে নেপিডোর সঙ্গে কাজ করছে ঢাকা। রোহিঙ্গাদের ভেরিফিকেশন বা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া নিষ্পত্তির কাজ চলমান রয়েছে।
এ বছর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হবে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা তো চাই শুরু হোক। মিয়ানমারও আশ্বাস দিচ্ছে, শুরু করবে। কিন্তু তাদের গ্যারান্টি নেই। তাই এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তাছাড়া এ ব্যাপারে টাইম ফ্রেম বলা যাবে না। তবে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে খুব সিরিয়াসলি কাজ করছি। আমাদের চাওয়া প্রত্যাবাসন যখনই শুরু হোক, সেটা যেন টেকসই হয়।