এখনো বিচ্ছিন্ন সুনামগঞ্জ, খাবার ও সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

প্রথম আলো সুনামগঞ্জ প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২, ১৪:১০

আজ রোববার বেলা ১টায় ৫৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এখনো সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন সুনামগঞ্জ। জেলার বিভিন্ন উপজেলার সড়ক ও বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে থাকলেও শহর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।


তবে পানিবন্দী এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট। দ্রুত এর সমাধান করা না গেলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।


বানভাসি মানুষ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নদীর পানি উপচে তলাতে শুরু করেছিল জেলার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারী সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক। এখনো সড়কটি কয়েক হাত পানির নিচে। পুরো জেলা টানা তিন দিন ধরে বিদ্যুৎহীন। মুঠোফোন নেটওয়ার্ক অকার্যকর, বন্ধ ইন্টারনেট সেবাও। পুরো শহরেই পানি ঢুকেছে। প্রতিটি বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। হাঁটু থেকে গলাসমান পানি।

মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে জেলার কিছু জায়গায় মুঠোফোনে মাঝেমধ্যে কথা বলা যাচ্ছে এবং খুদে বার্তাও পাঠানো যাচ্ছে। এভাবে খুদে বার্তা পাঠিয়ে প্রথম আলো সেখানকার তিন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভেতর পানি ঢুকে খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য নষ্ট হয়েছে। পানির কারণে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। খাবারের মজুত শেষ হয়ে পড়েছে। নলকূপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এখন হাহাকার চলছে।


সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা শ্যামসুন্দর সরকার খুদে বার্তায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘হঠাৎ পানি এসে শহরে ঢুকেছে। ঘরে ঘরে পানি। সবাই ঘরবন্দী হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। তবে এখন পানি কমতে শুরু করেছে। শহরের অনেকের খাবারের মজুত শেষ, পাওয়া যাচ্ছে না বিশুদ্ধ জলও। দুর্বিষহ দিন যাচ্ছে। করুণ ও অসহায় অবস্থায় আছে মানুষ।’

পুরোনো বাসস্টেশন এলাকায় থাকেন রুবেল মিয়া। তিনি খুদে বার্তায় কেবল এটুকুই লিখেছেন, ‘খুব বেশি ভালো নেই। বেঁচে যে আছি, এটাই বড় কথা।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও