কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের সংকট কাটবে কি?

যুগান্তর মুঈদ রহমান প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২, ০৯:১৭

করোনা অতিমারি ও সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বই এখন খাদ্যনিরাপত্তা ও জ্বালানি সংকটে ভুগছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে পরিবহণ খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি। ফলে প্রতিটি দেশের আমদানি ব্যয় অপ্রত্যাশিত হারে বেড়ে গেছে। দেশীয়ভাবে মূল্যস্ফীতি তো আছেই, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতি। এ কারণে বিশ্ববাজারে দেখা দিয়েছে ডলার সংকট। আমাদের দেশও এ সংকট থেকে মুক্ত নয়। তাই সরকার বিলাসদ্রব্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করছে। এরই মধ্যে আমদানি ব্যয় কিছুটা কমেছেও। তারপরও আগামী অল্পদিনের মধ্যে ডলার সংকট মিটে যাবে বলে মনে হয় না। তাই প্রতিটি দেশই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রতি নজর রাখছে, বিদেশ থেকে ডলার নিজ দেশে প্রবেশের জন্য উৎসাহ দিচ্ছে। সে প্রচেষ্টার নমুনা বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক ২০২২-২৩ সালে প্রস্তাবিত বাজেটেও দেখা গেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, মাত্র ৭ শতাংশ কর দিয়ে যে কোনো ব্যক্তি, যে কোনো পরিমাণ পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনলে তাকে কোনো ধরনের শাস্তি প্রদান বা জরিমানা করা হবে না। এমনকি অর্থের উৎস সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হবে না। অনেকেই মনে করেন, এ ধরনের সুযোগ রাখা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। তবে যেসব শাসকগোষ্ঠীর আইন প্রয়োগের সামর্থ্য ও সদিচ্ছা নেই, তাদের কাছে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার এটাই পথ।


আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করি রপ্তানি ও প্রবাসী রেমিট্যান্স থেকে। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে পোশাক খাত শীর্ষে আর প্রবাসী রেমিট্যান্সের অবস্থান দ্বিতীয়। ২০২১ সালে দেশে প্রবাসী রেমিট্যান্স এসেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। তাই আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির মধ্যে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ লোক বিদেশে কর্মরত। প্রতিবছর দেশের শ্রমবাজারে প্রায় ২০ লাখ কর্মক্ষম ব্যক্তি প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ কাজের জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। তাদের পরিশ্রমের অর্থ আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায়।


মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আমাদের প্রবাসী আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৭৮ সাল থেকে আমাদের শ্রমশক্তি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রবেশ করে আসছে। শুরু থেকেই বেশ কয়েকবার সিন্ডিকেটের অভিযোগে মালয়েশিয়া শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয়। মালয়েশিয়া পৃথিবীর ১৩টি দেশ থেকে শ্রমিক নিলেও সিন্ডিকেটের অভিযোগ ওঠে কেবল বাংলাদেশের বেলায়। তারপরও অভিযোগের মীমাংসা করেই সময় কাটছিল। ২০১৬ সালে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২১ সাল নাগাদ মালয়েশিয়া কর্তৃক তাদের সরকারি-বেসরকারি পাঁচটি খাতে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার কথা। এই পাঁচ বছরের আওতায় দেশটিতে লোক পাঠানোর অনুমতি পায় বাংলাদেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। অভিযোগ আছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যোগসাজশে এই ১০টি এজেন্সিকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২০০ কোটি মালয়েশীয় রিঙ্গিত হাতিয়ে নেয় (১ রিঙ্গিত সমান ২১ টাকা ধরা হলে হাতিয়ে নেওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। তখন শ্রমিকপ্রতি সরকার নির্ধারিত ব্যয় ছিল ৩৩ হাজার ৩৭৫ টাকা। কিন্তু সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রতি শ্রমিকের কাছ থেকে আদায় করেছে দুই লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। অভিবাসনের ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত ব্যয় ছিল আইএলও কনভেনশনের পরিপন্থি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও