বাজেট, শিক্ষা এবং শিক্ষকের কান্না

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২২, ০৮:২৬

ভয়ে, অপমানে বা লজ্জায় মানুষ যখন কাঁদে সেই কান্নার দৃশ্য কখনোই ভালো লাগে না। কোনো কোনো কান্না বেদনা জাগায়, কোনো কান্নায় বিক্ষোভ তৈরি করে, কোনো কান্নায় আবার বিরক্তি আসে, কোনো কান্নায় আনে লজ্জা আবার কোনো কান্না করে অপমানিত। কান্নারত মানুষকে দেখে যে অনুভূতিই হোক না কেন কেউ আবার কাঁদিয়ে বীরত্ব দেখাতে ভালোবাসে। কিন্তু ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মাকে জড়িয়ে ধরে ছোট মেয়ের কান্নার ছবি পত্রিকায় দেখে যে অনুভূতি হলো তা তো কোনোভাবেই ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।


শিশুর সবচেয়ে বড় আশ্রয় তার মা। সেই মা যখন নিজেই বিপন্ন, সন্তানও আক্রান্ত তখন তার মর্মযাতনা কি কেউ বুঝবে না? ছবির মা একজন বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষয়িত্রী, মেয়ের বয়সী ছাত্রছাত্রীদের পড়ান। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান চাইতে। এসেছিলেন স্কুল জাতীয়করণের আন্দোলনে। সমাবেশে পুলিশ মারধর করে। ভয়ে মেয়ে মাকে জড়িয়ে মারের হাত থেকে বাঁচতে চাইছে আর মা আতঙ্কে কাঁদছে। মা-মেয়ের এই পরস্পর জড়িয়ে কান্নার ছবি অনেক গোপন বেদনার ছবি প্রকাশ্য করে দিল। দেখিয়ে দিল শিক্ষা ক্ষেত্রে কত বৈষম্য, শিক্ষকদের কষ্ট আর বঞ্চনার চিত্র। প্রাথমিক শিক্ষা হলো শিক্ষার প্রধান ভিত্তি। সেই ভিত্তি নির্মাণের কারিগর যারা তারা যে কত অবহেলিত, উপেক্ষিত আর অপমানিত হয়ে থাকেন তা বুঝতে এই ছবিই যথেষ্ট। কিন্তু কেন শত শত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ঢাকায় এলেন তার কারণ কী এবং তাদের সমস্যা দূর করার পদক্ষেপ কি নেওয়া হবে তা জানা হলো না এখনো।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও