উত্তীর্ণ কমিশন, ‘কষ্টের’ জয় বাহার-রিফাতের
১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন হয়ে গেল। একই দিনে দেশে কয়েকটি উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউপি নির্বাচন ও উপনির্বাচনও হয়েছে। তবে সবার চোখ ছিল কুসিক নির্বাচনের প্রতি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই জাতীয় গণমাধ্যমে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে নানা খবর, আলোচনা, পর্যালোচনা নিয়মিত বিষয় ছিল। এর প্রধান কারণ, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। অন্য নির্বাচনগুলোও একই দিনে হওয়ায় এগুলোও গুরুত্ব পাওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকা সত্ত্বেও গণমাধ্যমে তা ঘটতে দেখা যায়নি।
সিটি করপোরেশনের মর্যাদাই বোধ হয় আলাদা! তাই কুসিক নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই গণমাধ্যমগুলো সজাগ ছিল। মেয়র পদে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে আরফানুল হক রিফাতকে মনোনয়ন দিয়েছে। বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণায় অটল থেকেছে। কিন্তু বিএনপির দুজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হন। তাঁদের একজন দুবারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, অন্যজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নিজাম উদ্দিন কায়সার। দুজনকেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম এবং কামরুল আহসানসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মোট পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কুসিক নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে মাত্র ৩৪৩ ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করেন। সব প্রার্থী সারা দিন নির্বাচনে নিজ নিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও দিন শেষে বোঝা যাচ্ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে রিফাত বনাম সাক্কুর মধ্যে।