র্যাংকিংয়ের আশা করা ভুল
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস (কিউএস) বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং ২০২৩ প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বসেরা এক হাজার ৪০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থান হয়নি। এতে কিছু যায় আসে বলে মনে করেন না আমাদের শিক্ষামন্ত্রী বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা।
সামাজিক মাধ্যম, মূল ধারার গণমাধ্যমে এ নিয়ে কত যে সমালোচনা। কিন্তু কিউএস র্যাংকিংয়ের সূচকগুলো চিন্তা করলে ভাবনাটা ভিন্ন হবে বলে আশা করি। এগুলো হলো অ্যাকাডেমিক খ্যাতি (অ্যাকাডেমিক রেপুটেশন), চাকরির বাজারে সুনাম (অ্যামপ্লয়ার রেপুটেশন), শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত (ফ্যাকাল্টি-স্টুডেন্ট রেশিও), শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশনস পার ফ্যাকাল্টি), আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত (ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাকাল্টি রেশিও), আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত (ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট রেশিও), আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক (ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক) ও কর্মসংস্থান (অ্যাম্প্লয়মেন্ট আউটকামস)। এগুলোর কোনোটাই নেই ঢাকা কিংবা আমাদের অন্য কোনও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের।
সেই বিবেচনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য ও বিধেয় চিন্তা করা দরকার। গত শতাব্দীর বিশ ও ত্রিশের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ বলা হতো। যারা এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই ব্রিটিশ শাসকরাই একে ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ বলতেন। কেননা, কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একদম স্বতন্ত্রভাবে গড়ে তোলা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে আবাসিক ও টিউটোরিয়াল পদ্ধতিসহ পূর্ববঙ্গের ঢাকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।