চালের বাজারে অস্থিরতা ও অভিযান পরিচালনা
কিছুদিন যাবৎ চালের বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে মনিটরিং টিম ব্যবসায়ীদের মজুদ দেখছে, লাইসেন্স ও হিসাবপত্র যাচাই করছে, তাদের কারসাজির আলামত খুঁজে বেড়াচ্ছে। টিভির পর্দায় অবৈধ মজুদদারের তথ্য দিতে ফোন নম্বর দৌড়ে বেড়াচ্ছে। এর পটভূমি হলো দেশের সবচেয়ে বড় ফসল বোরো ধানের ভরা মৌসুমে চালের দরে অকালীন প্রবৃদ্ধি। ইউক্রেন যুদ্ধের অনিবার্য ফলস্বরূপ অন্যান্য অনেক পণ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম অনেক বৃদ্ধি পেলেও চালের দাম তো বাড়েইনি, বরং কিছুটা কমেছে। এই পরিস্থিতিটি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেখাপ্পা লাগায় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন সবাই নড়েচড়ে বসেছেন, কাজ চলছে দুর্বার গতিতে। তবে এসব কাজকর্মে পাইকারি বাজারে ধান ও চালের দর সামান্য কমলেও খুচরা মূল্যে এখনো কোনো ইতরবিশেষ লক্ষ করা যাচ্ছে না।
এই সময় সাধারণত মৌসুমি সরবরাহ-প্রাচুর্যে ধান-চালের বাজারদরে অধোগতি শুরু হয়। তবে সব সময় যে সেটা সত্য হবে, সে রকম কোনো কথা নেই; পরিবেশ পরিস্থিতি অনেক কিছুই পাল্টে দিতে পারে। ২০১৭ সিলেটে অকাল বন্যায় বোরো ফসলের যে ক্ষতি হয়, তাতে স্বাভাবিক ধারার বিপরীতে এই সময় চালের মূল্য ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। এই মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে সে বছর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাল গম মিলে প্রায় এক কোটি মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়, যদিও শুরুতে কৃষি বিভাগের ভাষ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল মাত্র দশ লাখ মেট্রিক টন। এবার কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির পেছনে একাধিক কারণ ক্রিয়াশীল। এর মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণ অন্যতম।
- ট্যাগ:
- মতামত
- চালের বাজার
- বাজার নিয়ন্ত্রণ