মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর নিবন্ধন বাতিলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তটি দেশে ও দেশের বাইরে বর্তমান সরকারের মানবাধিকারবিষয়ক অঙ্গীকার সম্পর্কে একটা ভুল বার্তা দিতে পারে বলে আমাদের ধারণা। শনিবার সমকালের এক প্রতিবেদনে যেমনটা লেখা হয়েছে, ১৯৯৪ সাল থেকে সক্রিয় বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা অধিকার তার নিবন্ধনের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে ২০১৪ সালে নবায়নের জন্য দেশের বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনজিও ব্যুরোর কাছে আবেদন জানায়। কিন্তু দীর্ঘদিন আবেদনটি ঝুলিয়ে রেখে গত ৫ জুন এনজিও ব্যুরো অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন করা যাবে না বলে সংস্থাটিকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেয়।
জানা গেছে, নিবন্ধনবিষয়ক আবেদনটির দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে অধিকার ২০১৯ সালে উচ্চ আদালতে একটা রিট আবেদন দাখিল করে। ওই আবেদনে সাড়া দিয়ে উচ্চ আদালত এনজিও ব্যুরোর প্রতি তাদের এ নিষ্ফ্ক্রিয়তার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি রুল জারি করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এনজিও ব্যুরো তাদের চাওয়া কিছু জিজ্ঞাসার উত্তর দানে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে মানবাধিকার সংগঠনটির নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করে।
অধিকারের কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে অসন্তুষ্ট হলে তার বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এনজিও ব্যুরোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার আছে- তা আমরা জানি। কিন্তু সে শাস্তি যে কোনো প্রকার সংশোধনের সুযোগ না দিয়ে একেবারে সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া নয়, তাও আমরা মনে করি।