ভূমিকম্প হ্রাসে গবেষণার গুরুত্ব
১৮৯৭ সালে ১২ জুন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। ৮ দশমিক ১ মাত্রার এ ভূমিকম্পের অনুভূত এলাকা বিস্তৃত হলেও জনসংখ্যা ও অবকাঠামোর স্বল্পতা এবং হালকা গৃহনির্মাণ সামগ্রীর কারণে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম ছিল। বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীর অন্যতম একটি সক্রিয় টেকটোনিক অঞ্চলে হওয়ায় আমরা প্রায়ই ভূকম্পন অনুভব করি। এ দেশের উত্তরে ভারতীয় ও ইউরেশীয় প্লেট এবং পূর্ব ও পূর্ব-দক্ষিণে ভারতীয় ও বার্মিজ প্লেটের চলমান টেকটোনিক প্রক্রিয়া এসব ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঘটায়।
গত আড়াইশ বছরে বাংলাদেশ ও আশপাশে ৭.০ বা তার বেশি মাত্রার ৯টি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। দুটির উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের মধ্যে। তবুও গত ২৫ বছরে দেশে ৪.২-৬.১ মাত্রার অনেক ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কোনো অঞ্চলের ভূঅভ্যন্তরে টেকটোনিক কারণে ক্রমান্বয়ে শক্তি সঞ্চিত হতে থাকে। একটা সময় পরে সঞ্চিত শক্তি কোনো দুর্বল অংশ ভূতত্ত্বের ভাষায় ফল্ট বা চ্যুতি দিয়ে ভূমিকম্প আকারে বিমুক্ত হয়। সময়ের সঙ্গে এ অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটে অর্থাৎ ওই এলাকায় আবার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। তা শত শত, এমনকি হাজার বছর পরও হতে পারে।