বাজেট : বৈষম্য ও দুঃশাসনের পুঁজিবাদ
বাংলাদেশে সরকার প্রতিবছর তার নিজস্ব আয়-ব্যয়ের হিসাব সংবলিত একটি বাজেট জনসমক্ষে প্রকাশ করে। এ বাজেটটির দুটি অংশ থাকে। রাজস্ব বাজেট ও উন্নয়ন বাজেট। রাজস্ব বাজেটে সরকারের আয় সংগ্রহের বিবরণ থাকে। উন্নয়ন বাজেটে ব্যয়বিন্যাসের চিত্র তুলে ধরা হয়। তাই বাজেটে সরকারের শ্রেণিগত পক্ষপাতিত্বের প্রতিফলন ঘটে। সংসদে সংসদ সদস্যরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করেন। সংসদের বাইরেও বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদে সংসদ সদস্যরা বাজেট অনুমোদন করলে ওই অনুযায়ী সরকার আয়-ব্যয় করার জন্য সংসদে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে অগ্রসর হয়। কিন্তু সরকার প্রতিবছরই একটি সংশোধিত বাজেট প্রস্তাব পেশ করে। এতে দেখা গেছে- আয় প্রস্তাব যা করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় এর একটি সংশোধিত প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। ব্যয়ের ক্ষেত্রেও অনুরূপ সংশোধিত প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। সংধোধিত প্রস্তাবটিও একটি অনুমিত হিসাব মাত্র। কারণ জুনে যখন বাজেট পেশ করা হয়, তখন পর্যন্ত মাত্র ৯ মাসের তথ্য সরকার হাতে পায়। তবুও এই বাজেট বক্তৃতা কয়েকটি কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার মধ্যেই প্রণীত হয়।
বহমান প্রকল্পগুলোর বাধ্যবাধকতা ছাড়াও আর যেসব মৌলিক সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো সংক্ষেপে নিম্নরূপ-