কমছে ৩৫০০ কোটি টাকা
কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসাবে সরকারি চাকরিজীবীরা আগামী অর্থবছরে গৃহনির্মাণ ঋণ কম পাবেন। একইভাবে হাত দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সম্মানি ও বিশেষ ব্যয়ের ক্ষেত্রে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যে অনুদান দেওয়া হতো, আগামী বছর তা কমানো হবে। যে কারণে অর্থবছরের শুরুতেই এ খাতে ব্যয় কর্তন করে নতুন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বের ১৩টি খাত থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করবে সরকার। এজন্য ওইসব খাতে নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেট (২০২২-২৩) বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
সরকারের সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈশ্বিক সংকটের কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে কয়েকটি পণ্যে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও কৃষকের সার। এই চারটি পণ্যে আগামী অর্থবছরে ভর্তুকি ব্যয় অনেক বেশি বাড়বে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় করা হচ্ছে ৬৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা, যা আগামী অর্থবছরে এসব খাতে ভর্তুকি গুনতে হবে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ বেশি ভর্তুকি ব্যয় করতে হবে ১৪ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। তবে আগামী অর্থবছরের শেষদিকে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভর্তুকি বাড়তে পারে-এমন আশঙ্কা করছে অর্থ বিভাগ। কারণ ভর্তুকি নির্ধারণ করা হয়েছে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারের পণ্যের মূল্যকে ভিত্তি ধরে। কিন্তু এই মূল্য অর্থবছরের শেষদিকে ঠিক নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে। এই ভর্তুকি ব্যয় মেটাতে সরকার অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে কৃচ্ছ্রসাধনের পথে হাঁটছে। এতে কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে অর্থ সাশ্রয় করে ভর্তুকিতে সংস্থান করা যাবে।