বাজেটের নির্মোহ মূল্যায়ন প্রসঙ্গ
২০২২-২৩ বাজেটবর্ষের প্রস্তাবিত বাজেটটি কেমন হয়েছে এ ধরনের চিন্তাভাবনার মধ্যে সবাই এখন। এখন একই সঙ্গে সংসদে উত্থাপিত ২০২১-২২-এর সম্পূরক ওরফে সংশোধিত বাজেটের ওপর নজর দেওয়ার ফুরসত মিলবে না, সুযোগ রাখা নেই, কারণ গত বছর ঢাকঢোল পিটিয়ে (এবারও যা করা হচ্ছে) নতুন বাজেটে কী করতে চাওয়া হয়েছিল, তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, কতটুকু কেন হয়নি এসব প্রশ্ন আনলে এবারের বাজেটে প্রথাগত প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশার সুর বেসুরো হয়ে উঠতে পারে বলেই। ’ঔপনিবেশিক’ প্রশাসন ও সময়ের গণবিছিন্নতার, গণদূরত্ব সৃষ্টির ধোঁয়াশে সুযোগ একটি ’গণপ্রজাতন্ত্রী’ দেশে চলমান অব্যাহত থাকা বা রাখার জন্যই জাতীয় বাজেট স্বার্থসন্ধ গুষ্ঠির, কোটারির, কালোবাজারির, মজুদকারী, পাচারকারীর পোয়াবারো হলেও তাকে জনবান্ধব, ব্যবসাবন্ধব, মধ্যবিত্ত ও গরিববান্ধব বলে অতি প্রচারের পরিবেশ সৃজিত হয়। সেখানে নির্মোহ, নিরপেক্ষ মূল্যায়নের সুর ক্ষীণ থেকে ক্ষীণ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
ছয়টি বিষয়কে প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে (স্বউচ্চারিত বক্তৃতায় নয়, তথ্যচিত্রে), এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অত্যন্ত কৌশলী হতে হবে। কেননা কোনো একটি সমস্যা সঠিকভাবে সমাধান করা না গেলে তা সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে পারে এ নির্মম সত্যের উপলব্ধি থেকেই।