![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fwww.jagonews24.com%2Fog-image%2Fnational%3Ffile%3Ddefault%26imgPath%3D2019November%2Fkabir-20220609135416.jpg)
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: প্রাণে বাঁচলেন নাড়িভুঁড়ি বের হওয়া কবীর
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের কিছু সময় পরেই নিজের নাড়িভুড়ি হাতে নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক যুবক। মুহূর্তের মধ্যেই তার এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অসহায় এ যুবকের নাম আহমদ কবীর। বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশনে। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কবীরের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। কমে যায় রক্তচাপও। সেসময় চিকিৎসকদের কাছেও দুঃসাধ্য ছিল কবীরের শরীরে অস্ত্রোপচার করা। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একদল চিকিৎসকের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রাণ ফিরে পাচ্ছেন আহমদ কবীর।
কবীর এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. আফতাব উদ্দিন জানান, বিএম ডিপোর ঘটনার দিন রাত পৌনে ১২টায় আহমদ কবীরকে হাসপাতালে পান তারা। রক্তচাপ না থাকায় অস্ত্রোপচার সম্ভব ছিল না। তাৎক্ষণিক রক্ত ম্যানেজ করে তার শরীরে দেওয়া হয়। এরপর বের হওয়া নাড়িভুঁড়ি পেটের ভেতর ঢুকিয়ে প্রাথমিকভাবে সেলাই করে দেওয়া হয়। ফ্লুইড দিয়ে রক্তচাপ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
পরদিন রক্তচাপ কিছুটা স্বাভাবিক হলে অস্ত্রোপাচার করা হয়। এসময় পেট কেটে ক্ষতিগ্রস্ত নাড়িভুঁড়ি জোড়া লাগানো হয়। এরপর ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। তবে এখনো ক্ষতস্থানে ইনফেকশনের (সংক্রমণ) ভয় আছে বলে জানান এই চিকিৎসক। হাসপাতালে আহমদ কবীরের পাশে রয়েছেন তার বৃদ্ধ পিতা সাদেক সর্দার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমার ছেলে বিএম ডিপোতে লেবারের কাজ করতেন। হাসপাতালে চিকিৎসা পেলেও সরকারি কোনো সহায়তা পাইনি আমরা। জেলা প্রশাসকের সহায়তা কেন্দ্রে যোগাযোগ করেছি কিন্তু এখনো সহায়তা পাইনি। শ্রম মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সহায়তাও পাইনি।