বিদ্বেষের রাজনীতি কি মুসলিম বিশ্বে ভারতের স্বার্থ ঝুঁকিতে ফেলছে?
ইসলামের নবীকে (সা.) নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একজন নেতা এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত এক মন্তব্য নিয়ে সেদেশের মুসলমান এবং বিরোধীরা কয়েক দিন ধরে হৈচৈ করলেও সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কান দেয়নি।
কিন্তু দু’দিন আগে কাতার সরকার দোহাতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্রের বক্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলার পর নরেন্দ্র মোদীর সরকার নড়েচড়ে বসে। খবর বিবিসির।
এরপর কুয়েত, বাহরাইন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সৌদি আরব থেকে শুরু করে এক ডজনেরও বেশি মুসলিম দেশ একে একে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কারো কারো বিবৃতির ভাষা বেশ কড়া। আরব বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কুয়েতে দোকানপাটে ভারতীয় পণ্য বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
সুন্নী ইসলামের অত্যন্ত প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান মিশরের আল আজহার আল-শরীফ তাদের এক বিবৃতিতে নবীকে নিয়ে বিজেপি নেতার বক্তব্যকে "সন্ত্রাসী আচরণের" সঙ্গে তুলনা করে বলেছে যে এমন আচরণ "পুরো বিশ্বে ভয়াবহ সংকট তৈরির উসকানি"।