মিথ্যা তথ্যের ভয়ংকর পরিণাম

সমকাল জিমি আমির প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২২, ০৯:২২

রানা প্লাজা, চুড়িহাট্টা, তাজরীন ফ্যাশনস, নিমতলী, নারায়ণগঞ্জের সেজান জুস ফ্যাক্টরি, সর্বশেষ সীতাকুণ্ড। এই তালিকা কি দীর্ঘই হতে থাকবে! গতকাল ফেসবুকে ঘুরেফিরে বন্ধুদের এ লেখাগুলোই চোখে পড়ছিল। প্রতিদিন এসব দেখতে দেখতে নিজের ভেতর কষ্টের অনুভূতি এখন কম হয়। তবুও আটকে রাখা যায় না চোখ। ঘুরেফিরে সেই ছবি বা খবরের কাছে ছুটে যায় মন।


কী হবে ভেবে, কার জন্য ভাবনা? পুড়ে যাওয়া মানুষদের জন্য? একদিক দিয়ে ভালো হয়েছে মনে হয়! বেঁচে থেকে দেখতে হতো হয়তো মেয়েটা ধর্ষিত হয়েছে। চাকরি না পাওয়া অথবা একটা লেজেগোবর মার্কা শিক্ষাব্যবস্থায় থেকে বা না থেকে বখে গেছে ছেলেটা। নিত্যপণ্যের দামের পাগলা ঘোড়ার সঙ্গে চলতে না পেরে নিজেই হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিত। তার চেয়ে বরং পুড়ে মরে বেঁচে গেছে। তবে বেঁচে থেকে প্রতিদিন মৃত্যুর প্রহর গুনবে অর্ধমৃত দুই শতাধিক মানুষ।


চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতার ডিপোতে এ ঘটনা ঘটল। এত মানুষের ক্ষতির বিষয়টি বিন্দুমাত্র আমলে না নিয়ে উল্টো তিনি বলছেন, তাঁর এই ক্ষতির দায় কে নেবে! না; আমার আর অবাক লাগে না। তাই তো; কত ক্ষতি তাঁর! যেহেতু তাঁর ডিপোর কাগজপত্রের হিসাব কেউ বের করতে পারবে না, তাই তিনি অবলীলায় বলে দিতে পারেন, তাঁর হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি ভাবছি, যদি এভাবে পশু-পাখির মতো মানুষ মরতেই থাকে তাহলে এই হাজার, লাখ, কোটি টাকার হিসাব কার জন্য?


এর আগে যত জায়গায় আগুন লেগেছে; ফায়ার সার্ভিস সব সময় অকথ্য ভাষায় গালি খেয়েছে। তারা দেরিতে আসে; তাদের বড় কোনো ল্যাডার নেই; তারা তেমন প্রশিক্ষিত না ইত্যাদি। কিন্তু সীতাকুণ্ডে কর্তৃপক্ষ নয়; স্থানীয়দের ফোনে ফায়ার সার্ভিস সেখানে যায়। নিজে থেকে গিয়ে এই প্রথম এত ফায়ার সার্ভিস কর্মী মারা গেলেন; তাঁদের কম প্রশিক্ষণের জন্য নয়, কর্তৃপক্ষের ভুল তথ্যের জন্য। কে সেই কর্তৃপক্ষ? সরকারদলীয় একজন নেতা। মারা গেলেন কে? সরকারের একটি জরুরি বাহিনীর নিরীহ কর্মীরা। সরকার তাহলে কোন পক্ষ নেবে এখন? কার ঘাড়ে বন্দুক রাখবে? একদিকে দলীয় নেতা, অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মী। নিজেদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য বাহিনীর প্রধানও কি সরকারকে বলতে পারবেন দায় নিতে? গত তিন দিনে সেই দলীয় নেতাকে কিছু বলা হয়েছে? নাকি রাতের আঁধারে পালাতে সাহায্য করে পরে বিমানবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হবে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও