ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক রকেট দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা
ইউক্রেনে অত্যাধুনিক রকেট পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলছেন, ইউক্রেনের আত্মরক্ষায় সাহায্য করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। কিয়েভ দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি চাইছিল - যা দিয়ে বহু দূর থেকে শত্রুকে লক্ষ্য করে আরো নিখুঁতভাবে হামলা করা সম্ভব।
ইউক্রেনকে এই অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিল রাশিয়া এবং এটি মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে এই আশঙ্কায় ওয়াশিংটনও এতদিন ইউক্রেনকে এই রকেট দিতে রাজি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই রকেট দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে কোনো ধরনের আক্রমণ করা হবে না - প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কাছ থেকে এই আশ্বাস পাওয়ার পরেই ওয়াশিংটন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। মস্কো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক রকেটসহ যেসব যুদ্ধাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা সেটাকে "অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে" দেখছে।
ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্ত
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুধবার বলেছেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য দেওয়া হলে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারে কিয়েভের শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে এর কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসে এক নিবন্ধে মি. বাইডেন লিখেছেন: "একারণেই আমরা ইউক্রেনীয়দের অত্যাধুনিক রকেট ও যুদ্ধাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যার ফলে তারা ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে মূল লক্ষ্যের ওপর নিখুঁতভাবে আক্রমণ চালাতে পারে।"
এসব রকেটের ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে খুব দ্রুত কথাবার্তা হবে বলে সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।
কেন এই রকেট
হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা বলেছেন নতুন এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এম ১৪২ 'হাই মবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম' বা এইচআইএমএআরএস।
তবে এরকম রকেট কতোগুলো দেওয়া হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।
এই সিস্টেমের সাহায্যে ৭০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটকে লক্ষ্য করে একাধিক রকেট নিক্ষেপ করা যায়।