বিস্ফোরকের ওপর বসে আছি আমরা

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সারা বিশ্ব এখন উদ্বিগ্ন। যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবে বিশ্বমন্দা এবং এশিয়া-আফ্রিকার দেশে দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সম্প্রদায় ইউক্রেন থেকে নজর সরাতে পারছে না। তিন মাস ধরে তুমুল যুদ্ধ চলছে।


এরই মধ্যে ইউক্রেন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ কবে নাগাদ শেষ হবে, তা কেউ বলতে পারছে না। এর আগে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট উগ্রবাদী তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করায় সেটি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ছিল বিশ্বসম্প্রদায়। ফলে সবার কাছে রোহিঙ্গা ইস্যু ঢাকা পড়ে যায়। বিশ্ব মিডিয়ায় তেমন কোনো উচ্চবাচ্য এখন আর নেই। বাংলাদেশের মিডিয়াসহ আমরা সবাই রোহিঙ্গা ইস্যুকে ভুলতে বসেছি।


অথচ রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে ঘাড়ের ওপর অনবরত বিষাক্ত নিঃশ্বাস ফেলছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এই কয়েক দিন আগে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। মিস্টার গ্র্যান্ডির সফর সংকট সমাধানে কোনো ভূমিকা রাখবে না, কিন্তু তাঁর সফরের অন্য গুরুত্ব রয়েছে। পাঁচ দিন বাংলাদেশ সফরের শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অনেক যৌক্তিক ও বাস্তব কথা বলেছেন। তবে রাখাইনে বৈষম্য থাকলে রোহিঙ্গারা এখানেই ভালো—তাঁর এই মন্তব্যে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রত্যাবাসনবিরোধী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উৎসাহিত হবে। রোহিঙ্গাদের ভেতর থেকে তৈরি হওয়া একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, দেশি-বিদেশি কিছু এনজিও এবং বৈশ্বিক ধর্মীয় উগ্রবাদী নেটওয়ার্ক রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নয়, সংকটকে জিইয়ে রেখে নিজ নিজ সংকীর্ণ স্বার্থ উদ্ধারে লিপ্ত হয়ে পড়েছে, যার বহু নিদর্শন বিগত সময়ে দেখা গেছে এবং এখনো কেউ দেখতে চাইলে দেখতে পাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও