খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোন পথে বাংলাদেশ

দেশ রূপান্তর বদরুল হাসান প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২২, ১০:৩৪

প্রখ্যাত পণ্ডিত যুবাল নোয়াহ হারারির অভিমত বর্তমান শতাব্দীর আগ পর্যন্ত মানুষের অস্তিত্ব ও দীর্ঘায়ুর প্রধান শত্রু ছিল তিনটি; যুদ্ধ, মহামারী ও দুর্ভিক্ষ। সময় বদলে গেছে। এখন আর এসব কারণ মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়; বিবর্তনের অপরিহার্য ধারায় সেসবে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তিনি পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অনেক গ্রন্থে তার এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইতিহাসও তার এ বক্তব্যের পক্ষেই সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু আবার এখন দেখছি যে, হারারির তত্ত্ব মিথ্যা প্রতিপন্ন করে ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। মহামারী, যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ আবার প্রত্যাবর্তন করছে; এগুলো বিশ্বব্যাপী মানুষের অপুষ্টি, অনাহার, দুর্দশা ও মৃত্যুর কারণ হয়ে গেছে, অস্তিত্বের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা এখন মাথাব্যথার কারণ।


অতিমারী কভিড শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের জুন মাস থেকে বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির অভিযাত্রা। এর আগেও দুনিয়ায় ক্ষুধার্ত মানুষের কমতি ছিল না; বরং তাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছিল। এ সময় তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮০০ মিলিয়নের বেশি। এর প্রধান কারণ হলো বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়াজনিত দুর্বিপাক, পোকামাকড়ের আক্রমণ, খাদ্যশস্যের রোগবালাই, বৈষম্য প্রভৃতি। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার হুমকি ও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছে। পৃথিবীতে অন্তত ৩৫ শতাংশ মানুষ প্রধান খাদ্য হিসেবে গমের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে যত গম ও সূর্যমুখী তেল কেনাকাটা হয়, রাশিয়া ও ইউক্রেন মিলে যথাক্রমে তার প্রায় ৩০ শতাংশ এবং ৭৫ শতাংশের জোগান দিয়ে থাকে। ভুট্টা রপ্তানিতেও এ দুটি দেশের অবস্থান ওপরের দিকে। রাসায়নিক সার পটাশ রপ্তানিতে রাশিয়া এবং বেলারুশের অংশ বিশ্বে ৪০ শতাংশ। ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তায় রাশিয়ার গ্যাস ও জ্বালানির ভূমিকার কথা সবাই জানেন। সংগত কারণেই ইউরোপের ‘ব্রেড বাস্কেট’ হিসেবে খ্যাত প্রাচুর্যপূর্ণ এই ভাণ্ডার এখন সবার অগম্য। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও