টাকার অবমূল্যায়নে মূল্যস্ফীতি
বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলারের চাহিদা বাড়ছে, সরবরাহ কমছে। এতে ডলার সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। ডলার সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এর দাম বেড়েই চলেছে।
আজ রোববার থেকে ডলারের দাম আরও ১ টাকা ৯৫ পয়সা বাড়বে। ফলে আমদানির দায় মেটানোর জন্য প্রতি ডলার গ্রাহকদের কিনতে হবে ৮৯ টাকা ৯৫ পয়সা দরে। সব ব্যাংক এই দরেই ডলার কেনাবেচা করবে। তবে নগদ ডলারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন দরে কেনাবেচা করতে পারবে।
এদিকে ডলারের দাম বাড়িয়ে টাকার লাগামহীন অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ডলারের দাম বৃদ্ধিতে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে। টাকার মান কমানোর ফলে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এতে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।
সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয় বাফেদা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে ডলারের অভিন্ন দর নির্ধারণ করবে। সেই দর বাংলাদেশ ব্যাংককে রোববার সকালে জানাবে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও জানিয়ে দেবে। ওই দরেই সব ব্যাংক ডলার কেনাবেচা করবে। ওই সিন্ধান্তের আলোকে বাফেদা শনিবারই ডলারের নতুন দর নির্ধারণ করেছে।