ভাঙা-গড়ার পরও রাষ্ট্রের চরিত্রে পরিবর্তন এলো না
এই ভূখণ্ডে বিদেশি শোষকদের আসার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল বহুবিধ। তারা ছক কষেই এসেছিল এবং খালি হাতে আসেনি, সঙ্গে করে নিজেদের মাতৃভাষা নিয়ে এসেছিল এবং যেমনটা করার কথা তা-ই তারা করেছে। নিজেদের ভাষাকে রাজভাষা করেছে। দখলদারিত্বের সেটাও একটা পদ্ধতি বটে। এই কাজে বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছে সর্বশেষ যে শাসক ছিল সেই ইংরেজরা।
তারা বিস্তর অভিজ্ঞতা ও প্রচুর বুদ্ধি নিয়ে এসেছিল। দখলদারিত্বকে চিরস্থায়ী করার পরিকল্পনায় তারা আইন-আদালত, সেনাবাহিনী ও পুলিশ, ব্যবসা-বাণিজ্য, আমলাতান্ত্রিক প্রশাসন এসব কিছু চাপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে আপাতনিরীহ কিন্তু ভেতরে ভয়ংকর যে আধিপত্যটি প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেটা ভাষার। ভাষার সাহায্যে মন-মানসিকতায় উপনিবেশ স্থাপন করেছে, যে-ঔপনিবেশিকতা তাদের প্রকাশ্য প্রস্থানের পরেও কায়েম রয়েছে।