আইন প্রণেতা হতে গিয়ে ইসাবেল হয়ে যান বিশ্বের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট
দেবদুলাল মুন্না: ইসাবেল পেরন। বিশ্বের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। ১৯৭৪ সালের ১ জুলাই আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হন।তখন তার বয়স ৪৩ বছর।কিন্তু সাধারণ পরিবারে জন্ম। বাবা আইনজীবি। একদিন কলেজ তেকে ফিরে তিনি তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ আচ্ছা তুমি যে আইনবিদ। এই আইনগুলো কে তৈরি করে দেয়? ’ মেয়ের মুখে এমন গভীর প্রশ্ন শুনে মেন্টিনেজ অবাক। বললেন, ‘ সংসদ সদস্যরা বা রাষ্ট্রপতি নতুন আইনের প্রস্তাব করেন।বিচারবিভাগ এটিকে প্রতিষ্ঠিত করে। ’তখন ইসাবেল বলেছিলেন, ‘ দেখো বাবা, আমি আইনপ্রণেতাদের একজন হবো একদিন।’এক নাচের পার্টিতে ইসাবেলের একদিন পরিচয় হন হুয়ান পেরনের সঙ্গে। পরে প্রেম। দীর্ঘ প্রেমের পর বিয়ে।তখনও জানতেন না তিনি একদিন প্রেসিডেন্ট হবেন। তার স্বপ্ন ছিল প্রেমেই সীমাবদ্ধ। বিয়ের পরপরই ইসাবেল পেরনের স্বামী হুয়ান পেরন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হন। তিনি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। ইসাবেল পেরন ছিলেন তার স্বামীর তৃতীয় স্ত্রী। ইসাবেল প্রথমে তার স্বামীর ক্ষমতাকালে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান। এসময়ই হুয়ান পেরন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অফিসে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি স্বামীর স্থলাভিষিক্ত হন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ১৯৭৬ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রায় দু’বছর দায়িত্ব পালন করেন। মূলত ইসাবেল পেরনের প্রেসিডেন্ট হবার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নের চিত্র বদলে যায়।ইসাবেল পেরন নারীদের অধিকার নিয়ে সরব ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলতেন, ‘আমি নারীদের অধিকতর নারীদের অধিকার দাবি করি, কারণ আমি জানি নারীদের সাথে কী করা হয়েছিলো। প্রত্যেক মানুষের মতো নারীদেরও সামর্থ্য আছে, আর নারীদের এই সামর্থ্যরে যথাযথ প্রয়োগও করতে হবে।’ ইসাবেল পেরনের জন্ম ১৯৩১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। তার পুরো নাম মারিয়া এসটেলা মারতিনেজ কারতাস ডি পেরন। ২০০৭ সালে আর্জেন্টাইন সরকার ১৯৭৬ সালের একজন বিদ্রোহী নিখোঁজের অভিযোগ এনে ইসাবেলা পেরনকে আটকের নির্দেশ দেয়। এরিমাঝে ইসাবেলা পেরন আত্মগোপন করেন। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি স্পেনে আটক হন তিনি। সেসময় তার ওপর নির্যাতন করা হয় ভয়াবহ। কিন্তু তিনি ভেঙ্গে পড়েননি। স্বামী হুয়ান পেরনের একটা কথাই মনে রেখেছিলেন তিনি। সেটি হলো, ‘ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। অতএব ক্ষমতায় থাকার সময়ও নির্যাতিতদের কথা ভাবো।’ ইসাবেলা পেরন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আর্জেন্টিনার বিদ্রোহ দমন ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে আগ্রাসী ভূমিকা রেখেছিলেন। তার এই আগ্রাসী ভুমিকার জন্য তিনি অনুশোচনায়ও ভুগতেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.