![](https://media.priyo.com/img/500x/https://www.jugantor.com/assets/news_photos/2022/05/27/image-555329-1653606529.jpg)
এ কেমন জিরো টলারেন্স!
দুর্নীতি একটি ক্ষতিকর সমাজব্যাধি। শারীরিক ব্যাধির সঙ্গে সমাজব্যাধির পার্থক্য আছে। অধিকাংশ শারীরিক ব্যাধি সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব। কিন্তু সমাজব্যাধি নির্মূল করা সম্ভব নয়। একে নিয়ন্ত্রণ করে সহনীয় মাত্রায় রাখতে হয়।
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই দুর্নীতি এ দেশে সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। দুর্নীতি এ দেশে সব সরকারের আমলেই কমবেশি ছিল। স্বাধীনতার পর গরিবের রিলিফ আত্মসাৎ করে খোলাবাজারে বিক্রি করার মধ্য দিয়ে দুর্নীতিচর্চার সূত্রপাত হয়।
পরবর্তী সময়ে সামরিক ও বেসামরিক সরকারের শাসনামলগুলোয় দুর্নীতির চর্চা কমবেশি অব্যাহত ছিল। তবে সব সরকারই ওপরে ওপরে দুর্নীতির প্রতি বক্তৃতা-বিবৃতিতে কঠোর মনোভাব পোষণ করে। এরশাদ সরকার তো অতীতের সব সরকারকে টেক্কা দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তার সময় দুর্নীতি অধিকতর প্রাতিষ্ঠানিকতা পায়।
রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বা দীর্ঘায়িত করতে অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর না হয়ে তাদের সঙ্গে আপস করেন। ফলে দুর্নীতিবাজ আমলা, ব্যবসায়ী বা অন্য পেশাজীবীরা সরকারের তরফ থেকে অঘোষিত ছাড় পায়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- দুর্নীতি
- জিরো টলারেন্স নীতি