কদর কি গুণের না গুণীর?

www.ajkerpatrika.com পলাশ আহসান প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২২, ১১:১৭

এ লেখাটি আমার মাথায় ঘুরছে ১৫ বছর ধরে। তখন কাছাকাছি সময়ে কয়েকটি টেলিভিশনে চলছে সংগীত প্রতিভা খোঁজার রিয়েলিটি শো। দুর্দান্ত সব প্রতিভা বের হয়ে আসছে সারা দেশ থেকে। আমিও নিয়মিত দর্শক এসব রিয়েলিটি শোয়ের। অনেকটা মুগ্ধ বলতে পারেন। একটাই বিরক্তি ছিল, যখন প্রতিভা প্রকাশ শেষে একজন প্রতিযোগী অনুনয়-বিনয় করে বলত, ‘আমার গান ভালো লাগলে প্লিজ, আমাকে এসএমএস করুন।’ একজন শিল্পীর এই বাণিজ্যিক আবেদনে রীতিমতো বিব্রত লাগত।


প্রথম দিকে আমি তাদের প্রতিভায় এতটাই মুগ্ধ ছিলাম যে তাদের আকুতিতে মাঝেমধ্যে সাড়া দিতাম। কিন্তু যখন দেখলাম একজন প্রতিযোগীকে ভোট করতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে, দেয়াললিখন ও মাইকিং চলছে। একপর্যায়ে দেখলাম বলা হচ্ছে, আপনার পছন্দের প্রতিযোগীকে যত খুশি তত এসএমএস করতে পারবেন। তার মানে প্রতিযোগীর বাবার টাকা থাকলে তিনি ফল নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিতে পারবেন। আর তখন মনে হলো শিল্পের এই প্রতিযোগিতাটা আর শ্লীল পর্যায়ে নেই। যে কারণে ওই সব রিয়েলিটি শো থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম।


এবার মার্চেও মুক্তিযোদ্ধা আমির হামজাকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া নিয়ে বিব্রত হয়েছিলাম। তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হলো এবং তা আবার ফিরিয়েও নেওয়া হলো। বিব্রত না হয়ে উপায় কী? আমির হামজা পদক পাওয়ার যোগ্য কি যোগ্য নন, সেটা আমার কাছে মুখ্য ছিল না। আমার কাছে মুখ্য, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার অপমান। অথচ তিনি নিজে পুরস্কার চাননি। তখন একবার লিখতে চেয়েছিলাম, আমি বলতে চাইছিলাম, এভাবে পদক পেলেই কী আর না পেলেই কী?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও