ডিলার ও মিলারদের কারসাজিতে সংকট
দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভোজ্যতেল মজুত থাকার পরও সরবরাহে দীর্ঘসূত্রতা তৈরির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
অধিকাংশ তেলের মিল থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া এবং মিলার ও ডিলারদের কারসাজিতে পুরোনো বিক্রয় আদেশে (এসও) দেরিতে তেল সরবরাহ করা এবং বারবার বিক্রয় আদেশ হাতবদলের ফলে তেলের দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই কারণগুলো উঠে এসেছে।
বাজারে তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করতে প্রতিযোগিতা কমিশন গত ১০ মার্চ একজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে। দলটি গত ১৪ মার্চ গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড ও সিটি অয়েল লিমিটেড, ৩ এপ্রিল বসুন্ধরা ফটিফাইড সয়াবিন অয়েল, ৫ এপ্রিল মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনার্স লিমিটেড এবং ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের পরিশোধনাগার পরিদর্শন করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদা ১৮-২০ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ প্রতি মাসে চাহিদা রয়েছে দেড় লাখ টনের ওপরে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যে দেখা গেছে, মার্চে বন্দর থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত মোট ভোজ্যতেল খালাস হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২১৬ মেট্রিক টন এবং এপ্রিলে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৩ মেট্রিক টন।