‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন’…

বিডি নিউজ ২৪ বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২, ১৯:১৫

বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের আবির্ভাব ধূমকেতুর মতো। শুরু থেকেই তার কবিতা পাঠকের প্রাণে নবজাগরণের উদ্দীপনা তৈরি করেছিল। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সামাজিক অবিচার ও শোষণ-নির্যাতন-উৎপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর তাকে সহজেই অন্যদের থেকে আলাদা করেছিল। দ্রোহ, প্রেম, দেশাত্মবোধ, অসাম্প্রদায়িক আধুনিক মননের অপূর্ব সংমিশ্রণে নজর কেড়েছিলেন নজরুল। মূলত বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও কাজী নজরুল ইসলাম অনেক প্রেমের কবিতাও লিখেছেন। প্রেম-বিরহ নিয়ে নজরুলের এমন সব কালজয়ী গান আছে যা শুনলে এখনো মানুষ আপ্লুত না হয়ে পারে না। গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ লিখেছেন, তবে তুলনামূলক কম। কিন্তু সেগুলো পাঠক নন্দিত হয়েছে।


বাংলা ১৩০৬ সনের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। সোনার চামচ মুখে নিয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেননি। তার ডাক নাম ছিল দুখু মিয়া। কবিতা গান অন্য সব রচনার জন্য তিনি খ্যাতি অর্জন করলেও আজীবন তাকে আসলে দুঃখের সঙ্গেই বসবাস করতে হয়েছে, দুঃখ জয়ের সংগ্রাম করতে হয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য রুটির দোকানে যেমন বালকবেলায়ই কাজ করতে হয়েছে, তেমনি কম বয়সে সৈনিক জীবনও বেছে নিতে হয়েছিল। প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে না পারলেও জীবনযোদ্ধা নজরুল ইসলাম সাহিত্যে সমর্পিত হয়ে আলো ছড়িয়েছেন চারদিকে।


ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা যখন প্রবল হয়ে উঠছিল, তখন বাংলা সাহিত্যে সাহসের ঝড় তুলে উন্নত শির এই কবির আবির্ভাব মানুষকে প্রতিবাদী হতে বিপুলভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। স্বাধীনতা, সাম্য চিন্তা এবং সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির বিরুদ্ধে জাগরণের এক নতুন হাওয়া তৈরি করতে কাজী নজরুল ইসলামের রচনাসমূহ বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও