একুশের ফুল আ গা চৌ
এই সংক্ষিপ্ত নামটিও লেখালেখিতে ব্যবহার করতেন তিনি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র এবং একুশের বরপুত্র আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী (১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪-১৯ মে ২০২২)। ৮৮ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের সুস্থ ও প্রগতিশীল সাংবাদিকতা জগতের এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের অবসান হলো—নিভে গেল এক দেদীপ্যমান নক্ষত্র। তাঁর মৃত্যুর তারিখটি কাকতালীয় কি না, জানি না—একুশের বরপুত্র হিসেবে বোধ করি আরেক ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। ১৯৬১ সালের এই ১৯ মে তারিখেই ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন। সেই রক্তাক্ত স্মৃতির সংযোগে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুর তারিখটিও যেন অক্ষয়-অম্লান হয়ে রইল।
তিনি কেবল এ দেশের সাংবাদিকতা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন না, ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তিনি একাধারে কবি, গল্পকার , ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও কথাসাহিত্যিক। কিন্তু তাঁর সব প্রতিভার স্ফুলিঙ্গ ছাপিয়ে উঠেছিল সাংবাদিকতার অগ্নি। সেই আগুনের আলো ও উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল দেশময়। প্রায় ৭০ বছরের সাংবাদিকতার জীবন তাঁর—বিশ শতকের পঞ্চাশের দশক থেকে একুশ শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত। সেকালের বিখ্যাত আজাদ, ইত্তেফাক, সংবাদ থেকে শুরু করে একালের জনকণ্ঠ, কালের কণ্ঠ, সমকাল, ভোরের কাগজ ও নবধারার নবজাত দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ আরও কিছু কাগজে তিনি কলাম লিখতেন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- শ্রদ্ধাঞ্জলী
- আবদুল গাফফার চৌধুরী