কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মূল্যস্ফীতি কমানোর অস্ত্র সরকারের কাছেই আছে

প্রথম আলো ড. জাহিদ হোসেন প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ১৭:০৬

প্রথম আলো: করোনা মহামারির পর সামষ্টিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে ছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা। এ মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ কী?



জাহিদ হোসেন: সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেড় বছর ধরে যে পুনরুদ্ধার হচ্ছে, সেটি টিকিয়ে রাখা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে ২২ থেকে ২৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। করোনা মহামারিতে সেটি বেড়েছে। কেউ বলছেন সেটি ৪২ শতাংশ, কেউ বলছেন ৪৫ শতাংশ। এর অর্থ, মহামারিতে দুই থেকে তিন কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। করোনার আগে যাঁরা দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিলেন, তাঁদের অবস্থা মহামারির সময় আরও খারাপ হয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কতজন তাঁদের আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পেরেছেন, সে পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। বিপুলসংখ্যক মানুষকে দারিদ্র্যসীমার মধ্য থেকে বের করে আনা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বৃহত্তর এক চ্যালেঞ্জ। ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই আমরা দেখেছি, বিশ্বে বিভিন্ন পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছিল। আমাদের দেশেও সেই প্রবণতা চলছিল। যুদ্ধ শুরুর পরে চাপটা আরও বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতির চাপটা এখন আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। ধনী, মধ্যবিত্ত কিংবা দরিদ্র—সবার জন্য মূল্যস্ফীতি একটি চ্যালেঞ্জ। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য মূল্যস্ফীতি হয়তো বিরক্তির বিষয়; কিন্তু শহর ও গ্রামের নিম্নমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের জন্য মূল্যস্ফীতি জীবিকার সংকট।
বিজ্ঞাপন



প্রথম আলো: বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান সংকটের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করা হচ্ছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে?



জাহিদ হোসেন: যুদ্ধের কারণে গ্যাস, তেল, গম, ভোজ্যতেল, সার, শিল্প-কাঁচামালের সরবরাহ-শৃঙ্খল (সাপ্লাই চেইন) বিঘ্নিত হয়েছে। আবার রাশিয়া ও রাশিয়ার বন্ধুদেশ, যেমন বেলারুশের ওপর যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেটি অন্যদের ওপরে কী প্রভাব ফেলছে, তা এখনো পরিষ্কার হয়নি। তবে যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হচ্ছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে সেই অনিশ্চয়তা কাটবে না। বিশ্ব অর্থনীতি যে পুনরুদ্ধারের পথে ছিল, সেটি যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ ২০২২-২৩ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে যে প্রাক্কলন করেছিল, গত এপ্রিল মাসে এসে সেটি কমে গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও