লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতিতে বেড়েছে আয় বৈষম্য

দেশ রূপান্তর বদরুল হাসান প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২, ১৬:৫১

অর্থনীতির প্রাথমিক পাঠে মুদ্রাস্ফীতির সুবিধা-অসুবিধা পড়তে গিয়ে জানতে পারি যে, স্বল্পমাত্রার মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতিতে সঞ্জীবনী সুরার কাজ করে; ব্যবসায়ীদের লাভ হয়, বিনিয়োগ বাড়ে, অলস সম্পদের বাঞ্ছিত ব্যবহার সম্ভব হয়, কর্ম সৃজন হয়, মোটের ওপর সব অংশীজনের লাভ হয়, অর্থাৎ সবার জন্য জয়জয়কার অবস্থা। তবে এর মাত্রা বেশি হলে সীমিত আয়ের মানুষজনের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়; তখন তাদের কম খেয়ে-পরে সে ঘাটতি সমন্বয় করতে হয়। আর যারা অর্থ ধার করে তাদের বেশ সুবিধা হয়; উত্তর কালের কমদামি অর্থ দিয়ে পূর্ব কালে নেওয়া বেশি দামি অর্থের ঋণ অভিহিত মূল্যে পরিশোধ করা যায়। তখন ভাবতাম তাহলে তো মুদ্রাস্ফীতি গরিবের জন্য কল্যাণকর; ধার-কর্জ তো গরিবরাই করে থাকে। কিন্তু এখন দেখছি প্রকৃত ঘটনা বরং উল্টো। গরিবরা ধার করে যৎসামান্য, বড়জোর হাজারের অঙ্কে, যা ফেরত দেওয়ার তাগিদ কড়ায়-গন্ডায়, আর ধনীরাও ধার করে হাজারের অঙ্কে, তবে লেজুড়ে কোটি যুক্ত থাকে। আর সে অর্থের একটা অংশ আদায় হয় না, আর অনেক ছাড়ের পর অতি বিলম্বে যতটুকু আদায় হয়, ক্রমপুঞ্জিত মুদ্রাস্ফীতি সমন্বয় করা হলে তার মূল্যমান দাঁড়ায় আদায় খরচের প্রায় কাছাকাছি।


কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে বিশ্বে অসহনীয় মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। মহামারীতে চলাচল সীমিত করা এবং লকডাউন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তাতে সব সেক্টরে, বিশেষত কলকারখানায় উৎপাদন কমে যায়, আর সরবরাহ শৃঙ্খলে অস্বাভাবিক ছেদ সৃষ্টি হয়। কিন্তু অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে মানুষের ভোগ তো আর বন্ধ করা যায় না। সেটা সমুন্নত রাখতে নানা প্যাকেজের মাধ্যমে উদারভাবে দেওয়া হয় প্রণোদনা। ফলে পণ্যের দাম বাড়ছিল। মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাপকভাবে শুরু হয়ে যায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মকান্ড। ১৯১৮-২১ সালের স্প্যানিশ ফ্লু উত্তর বিশ্বে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে একই রকম জোয়ার এসেছিল। এ-কারণে অনেক অর্থনীতিবিদ বিশ দশকের বর্তমান পুনরুদ্ধার পর্বকে গর্জনশীল চল্লিশার আদলে গর্জনশীল বিংশতি (Roaring Twenties) বলে অভিহিত করে আসছিলেন। এতে বিশ্বে জ্বালানিসহ খাদ্য ও কাঁচামালের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। ফলে সে সব পণ্যের দাম বেড়ে যেতে থাকে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ-বছরের শেষের দিকে একটা স্থিতাবস্থা তৈরি হয়ে যেত বলে অনেকের ধারণা ছিল। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ সব কিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এক-তৃতীয়াংশ উদ্বৃত্ত গমের উৎস রাশিয়া এবং ইউক্রেন। গ্যাস, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল ও সারের বড় জোগানদাত্রী এই অঞ্চল। যুদ্ধ এই বহুপ্রসূ অঞ্চলকে করে ফেলেছে অনধিগম্য। তাছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনে উৎপাদনও কমে যাবে। এতে নতুন করে শুরু হয়েছে সরবরাহ অভিঘাত। ফলে সব জায়গায় বেড়ে গেছে পণ্যের মূল্য। সেই সঙ্গে বেড়ে গিয়েছে পরিবহন ঝুঁকি, খরচ ও বীমা ব্যয় এবং নিষেধাজ্ঞাজনিত নানা জটিলতা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও