হাঁড়িভাঙা নিয়ে জটিলতার অবসান হোক
ইউনিয়ন থেকে। আমরা এটাও জেনে এসেছি যে এই আমের ‘ইতিহাস’-এর গোড়াপত্তন করেছিলেন নফল উদ্দিন পাইকার নামের এক বৃক্ষপ্রেমী মানুষ। শুরুতে এর নাম ছিল মালদিয়া। আমগাছটির নিচে তিনি মাটির হাঁড়ি দিয়ে ফিল্টার বানিয়ে পানি দিতেন। একদিন রাতে কে বা কারা ওই মাটির হাঁড়িটি ভেঙে ফেলে।
ওই গাছে বিপুল পরিমাণ আম ধরে। সেগুলো ছিল খুবই সুস্বাদু। সেগুলো বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে গেলে লোকজন ওই আম সম্পর্কে জানতে চাইলে চাষি নফল উদ্দিন বলেন, ‘যে গাছের নিচের হাঁড়িটা মানুষ ভাঙছিল, সেই গাছেরই আম এগুলা।’ তখন থেকেই ওই গাছটির আম ‘হাঁড়িভাঙা আম’ নামে পরিচিতি পায়।
বর্তমানে রংপুরের হাঁড়িভাঙা আমের মাতৃ গাছটির বয়স ৬৩ বছর। মা গাছটি এখনো খোড়াগাছের তেকানি গ্রামে রয়েছে। ওই এলাকায় বাণিজ্যিকভাবেই হাঁড়িভাঙা আমের চাষ বাড়ছে। স্বাদের কারণেই দেশে-বিদেশে আমটির চাহিদাও বাড়ছে।