অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা যদি যথাযথভাবে কাজে লাগানো না যায়, তাহলে সেটির পেছনে সময় ও অর্থ নষ্ট করার হেতু কী, বোধগম্য নয়। এতে বরং সুযোগের অপপ্রয়োগ ঘটে, যার প্রতিকার হওয়া উচিত। জানা গেছে, বিগত এক যুগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৫ হাজার ১২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এজন্য ‘বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারকে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মূলত এ প্রকল্পের অধীনেই চলছে অপরিকল্পিত এ কর্মযজ্ঞ। এতে প্রশাসনের প্রত্যাশিত মান অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তো উঠছেই; উপরন্তু রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় হচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
পরিকল্পনাবিহীন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জনস্বার্থে কতটা কাজে আসছে, এ প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ রয়েছে, প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষার নামে বিদেশ যাওয়ার সুযোগটিকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন অনেকেই। যেমন, বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা বিদেশে মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে সেখানেই লিয়েনে চাকরির বন্দোবস্ত করে ফেলছেন। পরে আনুষ্ঠানিকতা সারতে নামমাত্র দেশে এলেও অনুমতি নিয়ে পুনরায় বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন-এমন অনেক নজির রয়েছে। অন্যদিকে নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এলেও প্রত্যাগতদের সেই খাতে পদায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।