আগে দরকার আস্থা ফেরানো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাঁশি এখনো বাজেনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নির্বাচন হবে ২০২৩ সালের শেষে কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতেই। তবে তার আগে অনেক ‘যদি’, ‘কিন্তু’ আছে, সেগুলোর ফয়সালা হতে হবে। আগের দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক-সমালোচনা আছে। তাই সরকার নিশ্চয়ই চাইবে আগামী নির্বাচনটা বিতর্কমুক্ত করতে। সবার সব চাওয়া সব সময় পূর্ণ না হলেও কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা মোটামুটি নিজের চাওয়া-পাওয়ার ক্ষেত্রে ইচ্ছে পূরণে সফলতা দেখিয়ে আসছেন। শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন খালেদা জিয়া ও তাঁর দল বিএনপি। এই ধারা আর কত দিন অব্যাহত থাকবে, দেখার বিষয় সেটাই।
বিএনপি ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য সহিংস আন্দোলন করেছে জোট-সঙ্গী জামায়াতকে নিয়ে। কিন্তু নির্বাচন বাতিল হয়নি। তার এক বছর পরও বিএনপি তিন মাসজুড়ে আগুন ও বোমা-সন্ত্রাসের আন্দোলন করেও সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি; বরং ওই সহিংসতা চালিয়ে বিএনপির শক্তি ক্ষয় হয়েছে, তাদের ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রচারণার সুয়োগ পেয়েছে সরকার, আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি পতন চাইছে, অথচ সরকারের পতন হচ্ছে না।