নারীস্বাস্থ্যের জন্য যা জরুরি
নিজের শরীর আর স্বাস্থ্য নিয়ে এখনো নারী অসচেতন। খুব বড় সমস্যা না হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সংকোচ বোধ করেন। অথচ সচেতন থাকলে নীরোগ থেকেই জীবনযাপন করা সম্ভব।
কৈশোর : কৈশোরে একজন মেয়ের হরমোনের প্রভাবে স্তন বৃদ্ধি, মাসিকের আরম্ভ থেকে ওজন বৃদ্ধি, ত্বকের সমস্যা, আবেগের সমস্যা হতে পারে। শুরুতে অনিয়মিত মাসিক, প্রচ- ব্যথা, বমি, মাথা ঘোরাএসব নিয়ে মায়ের সঙ্গেও কথা বলতে দ্বিধা। এই বয়সে একটি মেয়ের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, থাইরয়েডের সমস্যা, এন্ডোমেট্রিওসিস, মাইগ্রেনসহ নানা সমস্যা হতে পারে। হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি, ব্রণের প্রাদুর্ভাব, অনিয়মিত মাসিক হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা, বিষণ্নতা, প্যানিক বা ফোবিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে, প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
প্রজননকাল : সন্তান নেওয়ার আগে শারীরিক চেকআপের নামই প্রি-কনসেপশনাল চেকআপ। এ সময় উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস আছে কি না, থাইরয়েড হরমোনের অবস্থা কেমন দেখে নিতে হবে। অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা থাকলে কারণ খুঁজতে হবে। মাইনর থ্যালাসেমিয়া বা মাইনর ট্রেইটগুলো অনেক সময় সন্তান নেওয়ার সময়ই ধরা পড়ে। যদি জেনেটিক রক্তরোগ থাকে, তবে স্বামীর পরীক্ষা করাও জরুরি। অনেকেরই অতিরিক্ত ওজন বা অতি কম ওজনের সমস্যা আছে, সন্তান নেওয়ার আগেই ঠিক করা জরুরি। হেপাটাইটিস-বি টিকা না দেওয়া থাকলে টাইটার (অ্যান্টিবডি টেস্ট) দেখে টিকা নিতে হবে। হাঁপানি, মৃগীরোগ, বাতরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্ রোগের মতো কোনো রোগ যদি থাকে তবে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করার আগেই চিকিৎসা জরুরি।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- নারী স্বাস্থ্য