বিএনপির ‘আত্মহনন’ নিয়ে আওয়ামী লীগ এত বিচলিত কেন?
দেশে যখন ভোজ্যতেলের সংকট চলছে, বঙ্গোপসাগরের অশনি দেশবাসীকে মহা অশনিসংকেত দিচ্ছে, তখন আওয়ামী লীগের নেতারা সেসব নিয়ে কথা না বলে কীভাবে বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে নিদ্রা হারাম করে চলেছেন। একজন মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা বিএনপির মঙ্গল চাই। কিন্তু বিএনপির নেতারা চান আত্মহনন।’ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি এই সহমর্মিতা প্রকাশের দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত আছে বলে আমাদের জানা নেই।
হত্যার মতো আত্মহননও অপরাধ। আওয়ামী লীগ নেতারা, সরকারের মন্ত্রীরা যদি বিএনপির নেতাদের এই আত্মহনন থেকে ফিরিয়ে আনেন, সেটি খুবই পুণ্যের কাজ হবে। বাংলাদেশে সব সরকারি দলই বিরোধী দলকে আত্মহনন থেকে, সন্ত্রাস ও অশান্তি থেকে শান্তির পথে ফিরিয়ে আনতে সদা সচেষ্ট থাকে। আর এই শান্তি প্রক্রিয়ায় তারা দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও নিয়োজিত করে থাকে। আগে কাজটি হতো লুকিয়ে-ছাপিয়ে, এখন প্রকাশ্যে। সরকার বিরোধী দলের নেতাদের হক-নাহক মামলা দিয়ে যে জেলে পাঠায়, তারও ইতিবাচক দিক অস্বীকার করা যায় না। বাইরে আন্দোলন করতে করতে তাঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। জেলখানায় কিছুদিন বিশ্রাম নিতে পারবেন। আর জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসার পর এই নেতারা নিজেদের কারা নির্যাতিত বলে বাড়তি সম্মান-শ্রদ্ধাও আদায় করতে পারবেন।