করোনার কারণে প্রায় দুই বছর ধরে দেশের বিনিয়োগ খাতে স্থবিরতা বিরাজ করছে; বহু ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি সংকুচিত হয়েছে। এ সময় বিপুলসংখ্যক কর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছে; অনেকের বেতন-ভাতা কমেছে। প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক নতুন কর্মী শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে।
জানা গেছে, করোনার কারণে দেশে কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়েছে; যাদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ আগের পেশায় ফিরতে পারেনি। বস্তুত গত দুই বছর বিনিয়োগ কম হওয়ায় দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
বর্তমানে দেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও নানা ধরনের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যা কর্মসংস্থান বাড়াতে ও অর্থনীতিকে চাঙা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এক্ষেত্রে কৌশল নির্ধারণ করা দরকার যাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আকৃষ্ট হন। তা না হলে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। অতিরিক্ত আমদানিনির্ভরতা বাজারের ওপর কী প্রভাব ফেলে তা সয়াবিনের দাম বৃদ্ধিতে আবারও স্পষ্ট হলো। কাজেই নতুন অর্থবছরের বাজেটে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে স্থানীয় শিল্পগুলো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বিকশিত হয়। বস্তুত এখন আমাদের এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যা এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের টেকসই উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।