বরিশালে সড়কে বাস সংকট, লঞ্চে সিট বাণিজ্য

সমকাল প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২২, ২০:২৮

ঈদ শেষে বরিশালসহ দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। শুক্রবার বরিশাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নামে লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে। আজ শনিবার উভয় পথে যাত্রীদের ঢল আরও বেড়েছে। শনিবার বেলা ১২টার পর থেকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে বরিশাল-কাঠালবাড়ি রুটে বাস সংকটে পড়েন যাত্রীরা। ঢাকামুখী শত শত যাত্রীকে টার্মিনালে গিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও সড়ক পথের যাত্রীরা বাস পাচ্ছেন না। আবার বাস পেলেও ৩০০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা। বিআরটিসি বাসেও ৫০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। বাস সংকটের কারণে অনেক যাত্রী চড়া ভাড়ায় থ্রি-হুইলার রিজার্ভ করে যাচ্ছেন কাঠালবাড়ি ঘাটে।


এদিকে শনিবার বিকেল ৪টায় বরিশাল নৌ-বন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, শুক্রবারের মতো যাত্রীদের চাপ অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা যাওয়ার জন্য বন্দরে নোঙ্গর করে আছে ১২টি লঞ্চ। পারাবত লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সেলিম বলেন, আজও (শনিবার) যাত্রীদের ভিড় আছে। শুক্রবারের মতো নির্ধারিত সময়ের দুই-তিন ঘণ্টা আগেই লঞ্চগুলো ছেড়ে যেতে হবে।


শনিবার দুপুর ২টায় নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, শতশত যাত্রী টার্মিনালে অপেক্ষা করছেন কাঠালবাড়ি যাওয়ার জন্য। কিন্তু কাঠালবাড়ি রুটে চলাচলকারী বিএমএফ পরিবহনের কাউন্টার ছিল বন্ধ। বিএমএফ পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান সুমন বলেন, যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। যে গাড়িটি যাত্রী নিয়ে যায়, সেটি আসতে দেরি হয়। এজন্য বাস সংকট হওয়ায় কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


বিএমএফ কাউন্টার বন্ধ থাকার কারণে লোকাল রুটের বাসে বাড়তি ভাড়ায় কাঠালবাড়ি ঘাটে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। দুপুর আড়াইটায় দেখা যায় হাজী ক্লাসিক নামের একটি বাস (বরিশাল-ব-১১০০৮৮) জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে নিয়ে যাত্রী তুলছে কাঠালবাড়ি যাওয়ার জন্য।


পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী গ্রামের মো. মামুন খান (৪৫) স্ত্রী সন্তানসহ পাঁচজন নিয়ে বরিশাল গেছেন ঢাকায় যাওয়ার জন্য। তিনি বলেন, ঈদে বাড়িতে বাড়তি খরচ হয়েছে। হিসাব করে বাস ভাড়া রেখেছিলেন। বাড়তি ভাড়ার জন্য এখন সেই হিসাব মিলছে না। অতিরিক্ত ভাড়া গুণে তিনি কীভাবে ঢাকায় ফিরবেন সেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।


পটুয়াখালীর লেবুখালী থেকে নথুলতাবাদ টার্মিনালে কথা হয় গার্মেন্টস কর্মী খাদিজা আক্তারের (৩২) সঙ্গে। ৩০০ টাকার টিকিট ৫০০ টাকায় কিনেছেন খাদিজা। তিনি অভিযোগ করেন, বাস টার্মিনালে বাড়তি ভাড়া নেওয়া প্রতিরোধে কোনো তদারকি টিম নেই। তাই যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও