কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কুপ্রবৃত্তি রোধে সুকুমার বৃত্তি চর্চা

জাগো নিউজ ২৪ ড. মিল্টন বিশ্বাস প্রকাশিত: ০৫ মে ২০২২, ১০:২৪

মানুষ হবার জন্য যেসব গুণাবলি থাকা দরকার তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সামাজিক মূল্যবোধ লালন করা, মানবতা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য রক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করা। কিন্তু এদেশে নির্বিশেষ শিক্ষিত কিংবা নিরক্ষর মানুষ শিষ্টাচার যথাযথভাবে মেনে চললেও মানবিকতায় এখনো আদর্শবাদী বাঙালি জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। এজন্য এ সমাজে পাশবিকতা আছে, আছে অপরের ক্ষতি করে নিজে সুখী হওয়ার প্রচেষ্টা।


আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। এজন্য ধর্ষণ রোধে পুরুষ সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদা বলেছিলেন, ‘পুরুষ সমাজকেও বলব, ধর্ষণটা তো পুরুষ সমাজ করে যাচ্ছে, পুরুষ সমাজেরও একটা আওয়াজ তোলা উচিত। খালি নারীরাই চিৎকার করে যাবে নাকি? নির্যাতিত হয়ে সব চিৎকার করবে আর নির্যাতনকারীর স্বজাতি যারা আছে তাদেরও এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া উচিত বলে মনে করি।’


আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও পারিবারিক বন্ধন এবং সুকুমার বৃত্তির চর্চাই সামাজিক অবক্ষয় রোধ করে এ দেশকে সুন্দর করতে পারে। সুকুমার বৃত্তি চর্চার কারণে একজন অন্যায়কে সমূলে উৎপাটন করতে উৎসাহী হয় এবং নিষ্ঠুরতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। মূলত শিক্ষাকে সৎ আর ন্যায়ের পথে কাজে লাগানো এবং নিজ স্বার্থের দিকে নজর না দিয়ে, অযৌক্তিকতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ব্রতী হওয়াই সুকুমার বৃত্তি চর্চার অন্যতম দিক। 


সংবাদপত্রের সূত্র অনুসারে, ২০২১ সালে ১ হাজার ২৫৩ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ৭৩৮ জন অর্থাৎ মোট ঘটনার প্রায় ৫৯ শতাংশ। এসব নারী ও শিশুর মধ্যে ৪৬ জনকে হত্যা করা হয়। একই বছর নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে। আর তা আগের বছরগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। করোনার আগে ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে দুই হাজারের বেশি নারী ও মেয়েশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৩১ জন। যাদের মধ্যে হত্যা করা হয়েছিল ২৬ জনকে। ২০১৮ সালে সারাদেশে ৯শ ৪২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয় ৬৩ নারী ও শিশুকে।


অর্থাৎ, ২০১৮-এর ১২ মাসে যে পরিমাণ ধর্ষণ হয়েছে তার অর্ধেক সময়ে ২০১৯-এ ধর্ষণের পরিমাণ বেড়েছিল প্রায় দেড়গুণ। কয়েকবছর যাবৎ ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মতো অনেকেই বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করেছেন। কেবল ধর্ষণ নয় হত্যা, ছিনতাই-রাহাজানি থেকে মানুষকে মানবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য কুপ্রবৃত্তি রোধে আরো কিছু কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করছেন সকলে। বই পড়া ও পাঠাগার আন্দোলন এক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও