কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঈদ আনন্দ : আসুক সবার ঘরে

ঢাকা পোষ্ট শাওন মাহমুদ প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২২, ১৩:০২

ষাট দশকের ঈদ। আমার কাছে বড্ড চেনা সময়ের কথা বলে যায়। মায়ের কাছে সেইসব দিনের কথা শুনতে শুনতে আজকাল চোখ বুজলেই স্পষ্ট দৃশ্যপটে ঝকঝকে সময় দেখা হয়ে যায়। আমার কাছে মনে হয় যে, ঈদের সেকাল বা একাল বলে আসলে কিছু নেই। ঈদের আনন্দ সবসময়ই একই ধারায় বহমান। বিশেষ করে, শৈশবের ঈদ মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ অধ্যায় বহন করে। সময়ের পরিবর্তনে উৎসবের আমেজে হয়তো রঙ বদলায়, আনন্দ নয়।


আবার একেক এলাকায় উদযাপনে হয়তো ভিন্ন ভিন্ন ধারা থাকে, মাত্রা থাকে, ধারাবাহিকতা থাকে। ঈদের আনন্দ, সবার জন্য এক নতুন বার্তা নিয়ে আসে। ঈদের দিন মানেই ঝরঝরে নতুন সময়ের শুরু।


আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা পরিবারগুলোয় সে সময়ে ঈদের কেনাকাটায় তেমন বাহুল্য ছিল না। মায়ের কাছে শুনেছি তখন বাইরে গিয়ে ঈদের বাজার করার মতো তেমন একটা চলও ছিল না। বাড়িতে গজ কাপড় এনে, ঘরের সেলাই মেশিনেই একাধারে ভাইবোন সবার জন্য ফ্রক, পাঞ্জাবি, কামিজ আর ব্লাউজ তৈরি করতেন তারা।


নতুন শাড়ি আনা হলে তাতে সুই সুতায় হাতে নকশা তুলতো সবাই মিলে। তবে সারা বছর যে শাড়ি লাগে তেমন শাড়িই আনা হতো। ছেলেদের জন্য সাদা পাঞ্জাবি আর পায়জামাই ছিল সহজ চল। বাবা পাঞ্জাবি বানাতেন গুলিস্তান মার্কেটের এক সেলাই ঘর থেকে।
বায়তুল মোকাররম মার্কেটে রাদুর স্যান্ডেল জুতা তার খুব পছন্দ ছিল। ঈদের দিন নতুন জুতার বাহানা সব ঘরেই শিশুদের আগ্রহের কেন্দ্রস্থল হিসেবে বরাবরের মতোই ছিল খুব বেশি।


মধ্যবিত্তের আগামী দু’বছর জুতা আর কেনা হবে না, এই ভাবনায়, শিশুদের পায়ের মাপ থেকে একটু বড় কেনা জুতায় তুলো ভরে চালিয়ে নিতেন। ঈদের দিন বিকেলে মাকে নিয়ে ভেসপা চেপে ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসতেন বাবা।


যেকোনো উৎসবে তিনি রাতের বেলায় বাড়ির সবাইকে নিয়ে গাড়ি করে আইসক্রিম খেতে নিয়ে যেতেন। ছোট অথচ সুন্দর সব প্রাপ্তির মাঝে ভরপুর জীবন যাপনের স্মৃতি আমাদের জীবনে বপন করে দিয়ে গেছেন তিনি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও