কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঈদকেন্দ্রিক আকর্ষণ দৃষ্টিনন্দন তিস্তা পার্ক

ঢাকা পোষ্ট কাউনিয়া প্রকাশিত: ০২ মে ২০২২, ১২:২৮

এপার-ওপার বিস্তৃত তিস্তা। কোথাও জেগেছে বালুচর। কোথাও আবার কোমর বা হাঁটুসমান পানি। চারদিকে ছুটে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট নৌকা। নদীর ওপর দিয়ে ছুটছে ট্রেন ও চলছে ভারী যানবাহন। সকাল-বিকেল আর সন্ধ্যা-রাতে নজর কাড়ে অন্য রকম প্রকৃতি।


এই নদীর অববাহিকায় রেল ও সড়ক সেতুকে ঘিরে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন তিস্তা পার্ক। যেন প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা চারপাশ।


নদী ও প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়ে বিনোদনের জন্য নতুন এই সংযোজন ঘিরে বাড়ছে দর্শনার্থী ও পর্যটকদের আনাগোনা। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী মানুষদের আকৃষ্ট করছে সম্ভাবনাময় এই পর্যটন শিল্প। সড়ক ও রেল সেতু ঘিরে তিস্তা নদীর কোলে এটি প্রথম পার্ক।


রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার উত্তর-পূর্ব প্রান্তে তিস্তা বাজার সড়কে দৃষ্টিনন্দন এই তিস্তা পার্কের অবস্থান। রংপুর থেকে কুড়িগ্রাম যেতে তিস্তা সড়ক সেতু পার হয়ে হাতের বাঁয়ে তাকালেই দেখা মিলবে বাঁধের কোলঘেঁষা সুসজ্জিত তিস্তা পার্কটি। আবার কুড়িগ্রাম থেকে রংপুরের দিকে আসার পথে সড়ক সেতুতে উঠতেই হাতের ডানে এই পার্কটি মনোরম পরিবেশে উঁকি দিচ্ছে। দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি বিনোদনের জন্য চমৎকার ও নজরকাড়া।


এবারের ঈদে শিশু-কিশোরদের নির্মল আনন্দের জন্য পার্কটিকে সাজানো হয়েছে নতুন রঙে। তাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রাইড। আছে দর্শনার্থীদের জন্য নানা খাবারেরও ব্যবস্থা। পার্কটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে ভ্রমণপিপাসু মানুষ। সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেখা যায় এই পার্কে। কেউ হেঁটে হেঁটে, কেউবা আবার ছুটে ছুটে দেখছেন পার্কের আশপাশ। ভালো লাগার মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দী করার দৃশ্য দেখা যায় এখানে।


পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালের মার্চে নদীর কোল ঘেঁষে শুরু হয় তিস্তা পার্ক নির্মাণকাজ। গেল এক বছরে শিশু-কিশোরদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু আকর্ষণীয় রাইড সংযোজন ছাড়াও পার্কে জীবজন্তুর কৃত্রিম প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে রুহুল আমিন দুলু নামে স্থানীয় একজন তিন বছরের জন্য সরকারি এই জমিটি ইজারা নিয়েছেন। পরে সেখানে করিম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তত্ত্বাবধানে তিস্তা পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়। 


পার্কটির জমির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ছয় একর। এর নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয়সহ রংপুর জেলা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন এলাকার বিনোদনপ্রিয় মানুষের সাড়া মিলেছে। অল্প সময়ের মধ্যে পার্কের পরিচিতি ও দর্শনার্থীদের আস্থা অর্জনে কুড়িয়েছে প্রশংসা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও