স্মার্টফোনের পরে কী

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০২ মে ২০২২, ০৮:০৫

১৫ বছর আগে স্টিভ জবস তিনটি নতুন পণ্যের ঘোষণা দিয়েছিলেন। একটি ছিল মিউজিক প্লেয়ার, একটি মোবাইল ফোন ও আরেকটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগের যন্ত্র। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের তখনকার প্রধান স্টিভ জবস যখন নতুন পণ্যের বিষয়টি দর্শকদের সামনে হাজির করলেন, লোকজন তখন চমকে গেল। দর্শকেরা ধীরে ধীরে যখন বুঝতে পারলেন স্টিভ জবসের ঘোষণা দেওয়া তিনটি পণ্য আসলে মাত্র একটি পণ্য; আর সে পণ্যটি হলো আইফোন। দর্শকের করতালি আর স্টিভ জবসের হাত ধরে ঘুরে গেল স্মার্টফোনের জগৎ। নতুন প্রযুক্তির যুগ শুরু হলো।


কম্পিউটার–সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে ডেস্কটপ কম্পিউটারের জায়গা নিল স্মার্টফোন।
স্টিভ জবস আর নেই। মোবাইল প্রযুক্তির বিবর্তনকারী আইফোনের উদ্ভাবক স্টিভ জবস দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১১ সালে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে মারা যান। তিনি বেঁচে থাকলে তাঁর উদ্ভাবিত নানা কাজের এই স্মার্টফোনের ব্যবহার দেখে নিশ্চয়ই আশ্চর্য হতেন। ছোট্ট পর্দার এই যন্ত্রের মাধ্যমেই এখনকার ব্যাংকিং সেবা, নেটওয়ার্কিং বা যোগাযোগ, ম্যাপ বা মানচিত্রের ব্যবহার, গেম খেলার মতো নানা ধরনের কাজ করা হচ্ছে। অ্যাপলসহ বিশ্বের স্মার্টফোন নির্মাতাদের হাতেই এখনকার প্রযুক্তিজগতের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তারা হার্ডওয়্যার বিক্রির পাশাপাশি স্মার্টফোনের উপযোগী নানা সফটওয়্যার তৈরি করছেন। গত বছর স্মার্টফোনের হার্ডওয়্যার বিক্রি হয়েছে ৫৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। এর বাইরে স্মার্টফোন বিক্রেতাদের হাতে রয়েছে এই প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও। তাদের তৈরি অ্যাপ স্টোর থেকে গত বছর ১৩৫ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। এ ছাড়া স্মার্টফোন প্ল্যাটফর্মের যে, তার বাজারও ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।


তবে স্মার্টফোনের এত ব্যবসা দেখলেও এর যুগ যে ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসছে, তার প্রমাণও কিন্তু দেখা দিতে শুরু করেছে। ২০১৬ সাল থেকে ধীরে ধীরে ফোন বিক্রি কমছে। কারণ, স্মার্টফোন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো হালনাগাদ আসেনি।


মানুষ তাই স্মার্টফোন হালনাগাদ করা কমিয়ে দিয়েছে। ধনী দেশগুলোতে এখন প্রায় সব মানুষের হাতেই পৌঁছে গেছে স্মার্টফোন। অর্থাৎ নতুন স্মার্টফোন বিক্রির জায়গা কমে গেছে। ফলে প্রযুক্তি খাতের উদ্ভাবকদের এখন অন্য চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও