কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শ্রমিক স্বার্থ ও অধিকারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধু

জাগো নিউজ ২৪ এন আই আহমেদ সৈকত প্রকাশিত: ০১ মে ২০২২, ০৯:৪৯

স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে মহান মে দিবস ছিল শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এক জ্বলন্ত প্রতীক। দিবসটি সারা বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।বঙ্গবন্ধু শোষিত, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে ছিলেন এবং তার আজীবনের লড়াই ছিল সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার, সে জন্য মে দিবস হয়ে উঠেছিল অনুপ্রেরণার এক অনন্য উদাহরণ। জেলের কয়েদিদের আপনি সন্মোধন কিংবা হঠাৎ ফসলের খেতে কৃষককে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন বঙ্গবন্ধুর জীবন চলার মনুষ্যত্ববোধ সম্পন্ন উদাহরণের পাল্লা ভারী করে সর্বদাই৷


মহান স্বাধীনতা লাভের পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নব প্রণীত সংবিধানের বেশ কয়েকটি অনুচ্ছেদে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকারের বিষয় সুদৃঢ়করণ করেন। সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তির কথা বলা হয়েছে: রাষ্টের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হবে মেহনতি মানুষকে- কৃষক ও শ্রমিকের এবং জনগণের অনগ্রসর অংশ সমূহকে সকল প্রকার শোষণ হইতে মুক্তি দান করা।


 শ্রমিকরা হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির আয়না এবং চালিকা শক্তি। তাদের সামনে যা করবেন, তা-ই প্রতিবিম্ব হবে বারবার৷ শ্রমিকদের জন্য সবচেয়ে বেশি শেখ হাসিনার সরকার কাজ করেছে। জাতির পিতার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই কেবলমাত্র শ্রমিকদের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা- বেতন-ভাতা নিশ্চিত করেছেন।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে শ্রমিকদের ভূমিকা রয়েছে এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় অনুভব করেন। আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, দেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। 


১৫ (খ) অনু্চ্ছেদে কর্ম ও মজুরির অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে: কর্মের অধিকার অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করে যুক্তিসংগত মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিম্চিয়তার অধিকার; যুক্তিসংগত বিশ্রাম বিনোদন ও অবকাশের অধিকার। ৩৪ অনুচ্ছেদে জবরদস্তি- শ্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে: সকল প্রকার জবরদস্তি শ্রম; এবং এই বিধান কোনভাবে লংঘিত হইলে আইনত; দণ্ডনীয় অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে। বঙ্গবন্ধু নিখাদ আন্তরিকতায় স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকারের বিষয় অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।


জাতির পিতা যেমন ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তেমনি তিনি ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর’ জন্য ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শ্রম অধিকার নিশ্চিতে তিনি তেমন শ্রমিককের পাশে থেকেছেন তেমনী শ্রমজীবিদের বিরোধী তথাকথিত শ্রেণীর বিরুদ্ধে দিয়েছেন চিরচেনা সে বজ্রহুংকার৷ ১৯৭৫ সালের ২৬শে মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বঙ্গবন্ধু চাকরিজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, "আপনি চাকরি করেন আপনার মায়না দেয় ঐ গরীব কৃষক, আপনার মায়না দেয় ঐ গরীব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ঐ টাকায়, আমি গাড়ি চলি ঐ টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ওদের ইজ্জত করে কথা বলুন, ওরাই মালিক" শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি কতটা টান,কতটা দরদ, কতটা মমত্ববোধ থাকলে একজন রাষ্ট্র নায়ক তাঁর দেশের গরীব শ্রমজীবীদের দেশের মালিক বলে ঘোষণা দিতে পারেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও