ঈদে গ্রামে ফেরাতেই আনন্দ, এ যেন মুক্তিও
দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে ঢাকায় আবাস গড়েছেন। রাজধানীতে কর্মব্যস্ততার চাপে চিড়েচ্যাপটা হওয়া মানুষের কাছে ঈদে বাড়ি ফেরা যেন মুক্তি ও প্রশান্তির ছোঁয়া। তাই ঈদ শুধু উৎসব নয়, নগরবাসীর কাছে নাড়ির টানে গ্রামে ফেরার আয়োজন। এই স্রোতে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত—কোনো ভেদাভেদ থাকছে না।
এবার ঈদের ছুটি তুলনামূলক দীর্ঘ। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় দুই বছর পর এবার ঈদুল ফিতর হতে যাচ্ছে অনেকটাই মুক্ত পরিবেশে। যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ না থাকায় এবার রেকর্ডসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই), যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, গত ঈদের তুলনায় এবার ঢাকা ছাড়া মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে।
ঈদে নগরবাসীর গ্রামমুখী হওয়ার সামাজিক, পারিবারিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে যাঁরা ঢাকায় এসেছেন, তাঁদের অধিকাংশের শহরে নিজের মালিকানাধীন আবাসস্থল নেই। তাঁদের পরিবারের একটি অংশ নিজ গ্রামে থাকেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা জীবিকার প্রয়োজনে আলাদা থাকেন। আবার অনেকেই শুধু নিজে ঢাকায় থাকেন, পরিবার গ্রামে থাকে। ঈদে গ্রামে ফিরে আসেন পরিবারের সবাই। ফলে এই পারিবারিক মিলনমেলায় যোগ দিতে বাড়ি ফেরেন তাঁরা।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ঈদের ছুটি
- ঈদের কেনাকাটা
- ঈদের সাজ