৬২% কৃষকই পিঠ ও মাংসপেশির ব্যথায় ভুগছেন

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১৫:২৬

শরীরের যেকোনো হাড়, পেশি, টেন্ডন, লিগামেন্ট (পেশি ও অস্থির সন্ধিস্থল) ও নরম টিস্যুতে ব্যথা হলে তাকে মাস্কুলোস্কেলেটাল ডিজঅর্ডার (এমএসডিএস) বলে। দেশের প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে এখন এ ধরনের জটিলতার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এজন্য তাদের অনিয়ন্ত্রিত ও অতিরিক্ত কায়িক শ্রমের প্রবণতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।


তাদের ভাষ্যমতে, চাষাবাদে কৃষিযন্ত্র ব্যবহারের সুযোগ নেই প্রান্তিক কৃষকদের। দিনরাত উদয়াস্ত শারীরিক পরিশ্রমে ভর করেই চাষাবাদ করে যাচ্ছেন তারা। অনিয়ন্ত্রিত ও অতিরিক্ত কায়িক শ্রমে দেহে জন্ম নিচ্ছে নানা জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যাধি। বিশেষ করে মাস্কুলোস্কেলেটাল ডিজঅর্ডারের প্রাদুর্ভাব এখন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।


দেশের কৃষকদের মধ্যে এমএসডিএসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে এখন পর্যন্ত বেশকিছু গবেষণা হয়েছে। প্রতিটিতেই কৃষকদের মধ্যে হাড় ও মাংসপেশির ব্যথার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির তথ্য জানানো হয়। দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের ওপর পরিচালিত এমন এক গবেষণায় দেখা যায়, ৬২ শতাংশ কৃষক কোনো না কোনো ধরনের এমএসডিএসে ভুগছেন। ‘আ ক্রস কাট সার্ভে অন মাস্কুলোস্কেলেটাল ডিজঅর্ডারস অ্যামাং ফার্মার্স ইন সিলেকটেড এরিয়াস অব নর্দার্ন পার্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, গবেষণার আওতাধীন কৃষকদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ (এমএসডিএসে মোট ভুক্তভোগীর ৭১ শতাংশ) পিঠের নিম্নাংশের ব্যথায় ভুগছেন। এছাড়া ঘাড়, হাঁটু ও পায়ের ব্যথায় ভুগছেন যথাক্রমে ৯, ৬ ও ৩ শতাংশ (মোট ভুক্তভোগীর সাড়ে ১৪, ৯ ও সাড়ে ৫ শতাংশ) কৃষক। শারীরিক ও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষার ভিত্তিতে গবেষণাটি চালানো হয়। এতে অংশ নেয়া কৃষকের ৬৯ শতাংশ দিনে ১০-১৫ ঘণ্টা কৃষিসংশ্লিষ্ট কোনো না কোনো কাজে যুক্ত থাকেন। প্রতিদিন খেতে ৫-৮ ঘণ্টা কাজ করেন ৬৭ শতাংশ কৃষক। মূলত কম আয়ের ও অতিরিক্ত শ্রমের সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের মধ্যেই এমএসডিএসের প্রাদুর্ভাব বেশি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও