সেনার পাশাপাশি সহায়তাও পাঠাচ্ছে রাশিয়া

www.ajkerpatrika.com ইউক্রেন বিজন সাহা প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১৩:৩৮

যুদ্ধের পাশাপাশি সব সময়ই কাজ করে হিউম্যানিটারিয়ান এইডস। রাশিয়া ইতিমধ্যে কয়েক হাজার টন সাহায্য পাঠিয়েছে। যখনই কোনো জনপদ রুশ সেনাদের অধীনে আসে, তারা প্রথমেই যারা দীর্ঘদিন খাদ্যাভাবে ভুগছে, সেখানকার সেই সব সাধারণ মানুষদের মধ্যে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বণ্টন করে। আর মানবতার কথা বলে মুখে ফেনা তোলা পশ্চিমা বিশ্ব অস্ত্র ছাড়া কী দিচ্ছে? এমনকি রাশিয়া যখন মানবিক করিডর খুলছে, তখন বিভিন্নভাবে সেখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। 


আসলে একটু গভীরভাবে ভাবলে দেখা যাবে, এই যুদ্ধ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় বাজার দখলের যুদ্ধ নয়, ব্রিটেনের ইইউ-বিরোধী যুদ্ধও। আসুন একটু পেছনে ফিরে তাকাই। নেপোলিয়নের ফ্রান্স প্রায় বিনা যুদ্ধে সমগ্র কন্টিনেন্টাল ইউরোপ দখল করে। ব্রিটেনের প্রধান শত্রু কে? নেপোলিয়ন। ১৮১২ সালে তাঁকে উসকে দেওয়া হয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ফলাফল সবার জানা।


এভাবেই ব্রিটেন প্রথম ইইউ ধ্বংস করেছিল। হ্যাঁ, সেটা ছিল প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়ন–নেপোলিয়ন সেটাই করতে চেয়েছিলেন। এরপর ১৯৩৯-৪১ সালে হিটলার সমগ্র কন্টিনেন্টাল ইউরোপ প্রায় বিনা যুদ্ধে দখল করে দ্বিতীয় ইইউর জন্ম দেন। ১৯৪১ সালে জার্মানির রাশিয়া আক্রমণের পেছনে ছিল চার্চিলের প্ররোচনা। সেই যুদ্ধ যে শুধু রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানির ছিল না, তার প্রমাণ আমরা পাব স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধের ইতিহাস থেকে। সেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানির পাশে যুদ্ধ করেছিল ইতালি, রোমানিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার কয়েক ব্যাটালিয়ন সৈন্য। ১৮১২ সালে ব্রিটেন ইউরোপের দুই প্রধান শক্তি ফ্রান্স ও রাশিয়াকে পরস্পর বিধ্বংসী যুদ্ধে নামিয়েছিল, ১৯৪১ সালে আবার ছিল ইউরোপের দুই প্রধান শক্তি জার্মানি ও রাশিয়া। এভাবেই ডিভাইড অ্যান্ড রুল মেথডে ব্রিটেন সারা বিশ্বকে পদানত করার চেষ্টা করেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেছে। তখন থেকেই সুযোগ খুঁজছে ইইউকে জব্দ করতে। এখন সে ইউক্রেনের হাত দিয়ে রাশিয়া ও ইইউকে নতুন যুদ্ধে নামিয়েছে। সঙ্গে পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। লাভ? একই সঙ্গে বহু যুগের শত্রু রাশিয়া ও কন্টিনেন্টাল ইউরোপকে দুর্বল করা। সে ক্ষেত্রে সে আবারও সফল। আবারও ডিভাইড অ্যান্ড রুল। 


ইদানীং অনেক কথা হচ্ছে বুচা নিয়ে, যেখানে নাকি রুশ সৈন্যরা নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করেছে। সেখানে আমরা কী দেখি? ইস্তাম্বুলে একধরনের ঐকমত্যে আসার পরই ব্রিটেন ঘোষণা করে, তারা রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলবে না। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে আদেশ দেয় তড়িঘড়ি করে কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর না করতে। এখন ভ্লাদিমির জেলেনস্কির নিরাপত্তার পুরোটাই ব্রিটিশ কমান্ডোর অধীনে। যদিও ৩০ মার্চ রুশ সৈন্য বুচা ত্যাগ করে এবং এরপর স্থানীয় মেয়র সব ঠিকঠাক আছে বলে ঘোষণা করেন এবং পরবর্তী কয়েক দিন কোনো হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া যায় না। কয়েক দিন বাদে কোত্থেকে যেন সেখানে লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তার পাশে। রাশিয়া সেই লাশ কার, কবে, কীভাবে মারা গেল—এসব পরীক্ষার দাবি জানালেও পশ্চিমা বিশ্ব সেই দাবি উপেক্ষা করে। তাই সেটা যে প্রভোকেশন, রাশিয়াকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করার পাঁয়তারা, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সিরিয়ায় আমরা দেখেছি হোয়াইট হেলমেট কীভাবে ফেইক ভিডিও করে। ইউক্রেনও তার ব্যতিক্রম নয়। সবাই তো এক গুরুরই শিষ্য। এ ছাড়া ইউক্রেনে জেনেভা কনভেনশন ভঙ্গ করে যুদ্ধবন্দীদের হত্যার যে ভিডিও দেখানো হয়েছে, সেখানেও এমআই-৬-এর প্রিন্ট চোখে পড়ে। যখনই রাশিয়া এ সমস্ত খবর যে সত্য নয়, সেটা প্রমাণ করতে চাইছে; বিভিন্নভাবে তাকে সেটা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি জাতিসংঘে পর্যন্ত এ নিয়ে শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে। কারণ, ঘটনার সত্য-মিথ্যা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। উদ্দেশ্য একটাই—রাশিয়াকে বিশ্বের মানুষের কাছে হেয় করা। গোয়েবলস বলেছিল, কোনো মিথ্যা যদি বারবার বলা হয়, সেটা সত্যে পরিণত হয়। এরা তো সেই গোয়েবলসেরই উত্তরসূরি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও