কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘আমি জজ ম্যাজিস্টরকে গ্রাজ্য করি না’

দেশ রূপান্তর আন্দালিব রাশদী প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ০৯:০৯

পুলিশের কথামতো কাজ না করলে খুন, ধর্ষণ, কিংবা ড্রাগের মামলায় ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করা যায় না। বেশি বাড়াবাড়ি করলে সিরিয়াল মামলা হতেই থাকবে। কলিকাতার পুলিশ সেখানে ভিন্ন ধরনের এক কল্পিত অপরাধের আশ্রয় গ্রহণ করত ব্যাটা বড্ড বেড়ে গেছে, সাহেব মারার মামলায় ফাঁসিয়ে দে। সাহেব মানে সাদা চামড়ার সাহেব। সাহেব মারা গুরুতর অপরাধ। সরকারি ডাক্তার হরগোবিন্দ চট্টোপাধ্যায়কে পুরোদস্তুর একজন বাঙালি দারোগা (সাব ইন্সপেক্টরএসআই, দারোগার নিজের ভাষায় এছাই) সাহেব মারার মামলায় সাক্ষ্য দিতে বললে তিনি চটে গেলেন। মিথ্যে সাক্ষ্য তিনি কেন দেবেন?


দারোগারও একটা যুক্তি থাকতে পারেইংরেজ সাহেব মারা যে অপরাধ এটা তো অস্বীকার করা যায় নানিজের হাতে আইন নেবে কেন? কিন্তু পুলিশ যাদের ধরেছে, তারাই যে কাজটা করেছে এটা তো সাক্ষ্যে প্রমাণিত হতে হবে। দারোগা ধরেই নেয় সরকারি চাকরি করবে, বেতন নেবে আর সরকারের পক্ষে দাঁড়াবে না হরগোবিন্দ নিজেকে কী মনে করেন? হরগোবিন্দ যে তলে তলে একজন স্বদেশি। এ অনাচার তার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়। তিনি দারোগাকে রীতিমতো ‘গেটআউট’ করে দিলেন।


হরগোবিন্দের মতো মানুষ দারোগাকে অমান্য করেন! একি কলিকাল! দারোগা মিথ্যে মামলা দিয়ে হরগোবিন্দের দুই পুত্রকে জেলে পাঠায়। হরগোবিন্দ তাকে রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দিয়েছেন এবং লাঞ্ছিত করেছেন এই আবেদন আদালতে পেশ করে খানা-তল্লাশির অনুমতি নিয়ে আসেন।


হরগোবিন্দ তার মেয়েদের রান্নাঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দারোগার নজর থেকে দূরে রাখতে পাহারা দিচ্ছিলেন। তল্লাশির সময় ব্র্যান্ডি ভেবে দারোগা বোতল থেকে তরল ঢেলে পান করেন, সে রাতেই তার অবস্থা মর মর হয়ে যায়। দারোগার স্ত্রী স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে ডাক্তার হরগোবিন্দের শরণাপন্ন হলে তিনি চিকিৎসকের নৈতিক দায়িত্ব পালন করেন। বিশিষ্ট এই দারোগা থানা তল্লাশির আদেশ পেতে আদালতে যে আর্জি পেশ করেছেন বানান অক্ষত রেখে তা হুবহু উপস্থাপন করা হলো :


‘বিচারপতী


হুজুরের হুকুম মোতাবেক সাহেব মারার মোকর্দ্দমার তদন্ত করিতে করিতে আরও দুই আসামীর নাম প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে অজয়চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শুসীলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ইহাদের পীতা সরকারী ডাক্তার হরগোবীন্দ চট্টোপাধ্যায় হয়। অজয়চন্দ্র অতী দুর্দ্দান্ত বেক্তী কলিকাতার সুরেন্দ্রবাবুর কলেজে অধ্যায়ন করে প্রকাশ তাহারাই হুকুম সূত্রে অন্যান্য আসামীগণ শাহেবকে মাইরপীট করিয়াছে দুইজনকে ৫৪ ধারা অনুসারে অদ্যই ধৃত করিবার বন্দোবস্ত করিয়াছী।


২। বিসেস তদন্তে আরও জানিয়াছী উক্ত অজয়চন্দ্র কলিকাতা বীভিন স্কোয়ার হাঙ্গামাতে লীপ্ত ছিল সে এখানে আসিয়া একটি লাঠীখেলা সমিতী স্থাপন করিয়াছে তাহাতে স্থানীয় অনেক লোক চাঁদা দেয় ডাক্তারের ছোট পুত্র শুসীলচন্দ্র অল্প বস্ক হইলেও অত্যন্ত দুষ্ট সে এখানে অনেক বালক লইয়া একটি ঢীল ছোঁড়া সমিতী স্থাপন করিয়াছে উদ্দেশ্য সাহেব মেম দেখিলেই ঢীল ছুঁড়িবে।


৩। গোপন অনুসন্ধানে জানিলাম উক্ত ডাক্তারের বাসায় সাহেব মারা রক্তাক্ত লাঠী প্রভিতী লুক্কাইত আছে লাঠীখেলা সমিতির চাঁদার খাতা মেম্বরের তালিকা দৃষ্টে অনেক আসামী আস্কারা হইতে পারে বিধায় প্রার্থনা ফৌঃ কাঃ বিঃ ৯৬ ধারা অনুসারে উক্ত হরগোবীন্দ ডাক্তারের বাটী খানাতল্লাসী করিতে ছার্চ্চওয়ারেন্ট দিয়া শুবিচার করিতে আগ্যা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও