বিচার চাইতে অনীহা কেন?
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করে শত্রুমুক্ত হয় বাংলাদেশ। জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করে নবগঠিত রাষ্ট্রের সূচনা হয়। ত্রিশ লাখ শহীদের তাজা রক্ত এবং দুই লাখ নারীর দীর্ঘশ্বাসের বিনিময়ে জন্মলাভ করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা; যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করা হবে।
সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদে নিশ্চিত করা হয়েছে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এছাড়া ১৯৪৮ সালের “সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র”-এর ৭নং অনুচ্ছেদে কোনও ধরনের বৈষম্য ছাড়া আইনি প্রতিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমান অধিকারের ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। একটি দেশে তখনই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় যখন সে দেশের প্রতিটি নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান।