ম্যালেরিয়া এখনো সমস্যা
প্রতিবছর ২৫ এপ্রিল পালিত হয় বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। ২০০৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম এ দিবস প্রবর্তন করে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের মধ্যে ম্যালেরিয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে তাঁদের উদ্বুদ্ধ করা।
বিশ্বে প্রতিবছর মশাবাহিত ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে লাখো মানুষ মারা যায়। ২০২০ সালে ৬ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় মারা যায়। যার শতকরা ৮০ ভাগ ছিল পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। শতকরা ৯৫ ভাগ ঘটে আফ্রিকায়। বাংলাদেশেও এর প্রকোপ একেবারে কম নয়।
প্লাসমোডিয়াম নামক জীবাণু দিয়ে হয় এই রোগ। যথাসময়ে রোগনির্ণয় এবং চিকিৎসা করা না গেলে এটি গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। প্লাসমোডিয়াম জীবাণুর পাঁচটি ধরন রয়েছে। এর মধ্যে প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত রোগীর জটিলতা বেশি। ম্যালেরিয়া হলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর ওঠে। প্রথম দিকে জ্বর মৃদু মাত্রার হলেও পরবর্তী সময়ে তীব্র মাত্রায় জ্বর শুরু হয়। ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যায়।
আবার জ্বর আসে। কোনো কোনো ম্যালেরিয়ার আক্রমণে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর জ্বর আসে। জ্বরের পাশাপাশি মাথাব্যথা, অরুচি, বমি ইত্যাদি লক্ষণ ফুটে ওঠে। তীব্র ম্যালেরিয়ায় রোগী অচেতন হয়ে পড়ে। শুরু হতে পারে খিঁচুনি। রোগীর রক্তে গ্লুকোজ কমে যায়। কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। ফুসফুসে পানি জমে। রক্তে অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। দেখা দেয় রক্তশূন্যতা। অনেক সময় শুরু হতে পারে গুরুতর ডায়রিয়া।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- ম্যালেরিয়া