পাটুরিয়ায় ফেরির চাপ বেশি, শিমুলিয়ায় লঞ্চযাত্রীদের
ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে। গতকাল রবিবার সকাল থেকেই ওই ঘাটে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। এর সঙ্গে রয়েছে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। এবার ঘরমুখো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের চাপ পড়বে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটের ফেরিতে।
ওই রুটে যানবাহন ও যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে ২১টি ফেরি চলার কথা রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে চলাচলরত ছোট-বড় ১৯টি ফেরির মধ্যে দুটি ফেরি অচল হয়ে পড়ায় প্রচণ্ড গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
অন্যদিকে লঞ্চ পারাপার যাত্রীদের চাপ বেশি পড়বে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিকান্দি ও বাংলাবাজার নৌ রুটে। এ কারণে এই রুটে লঞ্চ চলাচলের সময়সীমা রাত ৮টা থেকে দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
এদিকে মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের দিন এবং ঈদের আগে-পরে পাঁচ দিন করে মোট ১১ দিন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময় পচনশীল পণ্য ও কাঁচামালবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার হবে। গতকাল রবিবার বিকেলে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিগত দিনে ঈদের আগে ও পরে তিন দিন করে পণ্য পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছিল।
গতকাল রবিবার সকাল থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। অন্তত পাঁচ শতাধিক ছোট গাড়ি ও দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস পারের জন্য অপেক্ষমাণ থাকে। পাশাপাশি চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় জটলা বেঁধে থাকে। তবে সন্ধ্যার দিকে অপেক্ষমাণ ছোট গাড়ি ও বাসের চাপ কমলেও পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ কমেনি। এতে দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে গাড়িগুলো ফেরি পার হয়।
এদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চলমান ১৯টি ফেরির মধ্যে দুটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় প্রচণ্ড গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় ঘাটে পার হতে আসা যাত্রী ও চালকদের।