কার স্বার্থে এসব সেতু

যুগান্তর প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১২:২১

সেতু আছে, সংযোগ সড়ক নেই। দেশের ১২ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ১৯টি এমন সেতু দেখা গেছে। যাতায়াতে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে এসব সেতু নির্মাণ করা হলেও তা স্থানীয় জনগণের কোনো উপকারেই আসছে না। কোথাও সেতুতে উঠতে মই, কোথাও কাঠের সিঁড়ি ব্যবহার করছেন তারা। কোনো কোনো সেতু নির্মাণের পর তাতে আর মানুষের পা পড়েনি। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বছরের পর বছর।


এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেতু এলাকার বাসিন্দারা। কেন এসব সড়কে সংযোগ সড়ক নেই জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নানারকম তথ্য দিয়েছেন। কোথাও সেতুর সঙ্গে দুপাশের সংযোগ সড়কের বরাদ্দ ছিল না। কোথাও সংযোগ সড়ক তৈরি হলেও কিছুদিনের মধ্যেই তা ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া সেতু তৈরি হয়ে গেলেও এর দুপাশের ভূমি নিয়ে জটিলতা থাকায় সড়ক তৈরি করা যাচ্ছে না। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর বাইরেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বহু সেতু রয়েছে, যেগুলো কোনো উপকারে আসছে না। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :


বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের পোপা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেতুটি এখন ধানসহ বিভিন্ন ফসল শুকানোর মাঠ হিসাবে ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। এ এলাকার বাসিন্দা নুরুজ্জামান ও কমলা বেগম বলেন, প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি আমাদের কোনো কাজেই আসছে না। সামনে বর্ষা এলে দুপারের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।


পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের ফাঁসিকাটা খালের ওপর প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়। সংযোগ সড়ক না থাকায় দেড় বছর ধরে একই অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি। ১ বছর আগে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে একই উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বীপাশা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পড়ে আছে সংযোগ সড়কের কাজ। এছাড়া দেড় বছর আগে নির্মিত কেশবপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুর এলাকার কালামিয়ার সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় হাজার হাজার বাসিন্দা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও