কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ধানের কেজি ২৭, চালের ৪০

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১২:১৬

চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৮ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহের টার্গেটে মাঠে নামছে সরকার। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে সারা দেশে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হচ্ছে। চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এবার প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং আতপ চাল ৩৯ টাকা। মোট ছয় লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই সরকার ধান-চাল সংগ্রহ করে। এবারও করা হচ্ছে। ’


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরও ১৮ লাখ টন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছিল সরকার। পরে তিন মাসে মাত্র সাড়ে তিন লাখ টন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কভিড-১৯ মহামারি, লকডাউন, সংগ্রহের জন্য বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বাজারে ধান-চালের অস্বাভাবিক দাম, খাদ্যগুদামের শর্ত জটিলতায় সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে কৃষকের সাড়া না থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এ বছর করোনা না থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।


খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ১৮ লাখ টন ধান ও চালের মধ্যে মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৩৯ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং কৃষকদের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে সাড়ে ছয় লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অতীতে দেখা


গেছে খাদ্যগুদামের শর্ত জটিলতায় গুদামে ধান বিক্রি করতে সমস্যায় পড়েন প্রকৃত কৃষকরা। সরকারি দামে গুদামে ধান দিতে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার বা আর্দ্রতা নিশ্চিত করতে গিয়েও বিপাকে পড়েন প্রান্তিক চাষিরা। আর্দ্রতা সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তাঁরা এ ঝামেলায় পড়েন। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের মধ্যে সরকারিভাবে প্রচারের অভাব, খাদ্যগুদামে সিন্ডিকেটের দাপট এবং ধান বিক্রির জন্য সনাতনি শর্তসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন কৃষকরা। ফলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিঘ্ন ঘটে।  


সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে গিয়ে ঝক্কিঝামেলা মনে করে বেপারিদের কাছে ধান বিক্রি করে দেন। বর্তমানে ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা মণ ধরে ধান বিক্রি করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও স্থানীয় বাজারে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা মণ ধরেও ধান বিক্রি হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও